Baghajatin Market: একপাশে বেঁকে গিয়েছে বাঘাযতীন বাজার, যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা! পরিদর্শনে গিয়ে মাথায় হাত মেয়র পারিষদের
KMC: বাঘাযতীন বাজারে এসে মাথায় হাত মেয়র পরিষদ সদস্যের। বাজারের অর্ধেকের বেশি অংশ বসে গিয়েছে। ভেঙে পড়তে পারে যে কোনও সময়।
কলকাতা : পার্ক সার্কাস মার্কেটে সোমবার চাঙর ভেঙে যখন জখম হয়েছেন একজন ক্রেতা। এই ঘটনার পরই টনক নড়েছে কলকাতা পুরনিগমের। তড়িঘড়ি কলকাতার পুরনিগমের অধীনস্থ বাজারগুলির হাল হকিকত সরেজমিনে ঘুরে দেখা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার বাঘাযতীন বাজারের ১ নম্বর ইউনিট পরিদর্শন করতে এসেছিলেন কলকাতা পুরনিগমের বাজার বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য আমিরুদ্দিন ববি এবং পুরনিগমের জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মেয়র পারিষদ দেবব্রত মজুমদার।। বাজারে এসে সেখানকার ভয়াবহ অবস্থা দেখে রীতিমতো মাথায় হাত পড়ে গিয়েছে তাঁদের। কী অবস্থা বাঘাযতীন বাজারের? গোটা বাজারের প্রায় ৬০ শতাংশ অংশ বসে গিয়েছে। বেঁকে গিয়েছে একপাশ। যে কোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড়সড় এক দুর্ঘটনা।
প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই এখানকার ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা নিত্যদিন আসা-যাওয়া করেন। বাজার বিভাগের মেয়র পারিষদের বক্তব্য, “২০১৬ সালে এবং ২০১৮ সালে দু’বার এসে আমি অনুরোধ করেছি, সবাইকে অন্যত্র স্থানান্তর করা হবে। মার্কেটটিকে ভেঙে নতুন করে তৈরি করা হবে। মোট ৮৭ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন। তাই তাঁরা যদি আমাদের অনুরোধ মেনে কলকাতা পুরনিগমের করে দেওয়া জায়গায় স্থানান্তর হন, তাহলে এই মার্কেটটিকে ভেঙে আবার নতুন করে তৈরি করা যাবে। নাহলে যে কোনও দিন ভেঙে পড়তে পারে। যতজন ব্যবসায়ী আছেন তাঁরা প্রত্যেকেই এখানে জায়গা পাবেন। কাউকে স্থানচ্যুত করা হবে না।”
বাঘাযতীন ব্যবসায়ী সমিতির ইউনিট ১ এর সভাপতি সুবীর গুপ্ত এই বিষয়ে বলেন, “আমরা সমিতির লোকেরা একজোটে বসে আলোচনা করে এই ব্যাপারে যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেব। আমরা যাতে কোনওভাবেই উচ্ছেদ না হই সেই বিষয়টি কলকাতা পুরনিগমকে নিশ্চিত করতে হবে।”
বাজার এলাকায় বর্ষার আগে এমন বেহাল দশা নিয়ে বেশ উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের একাংশের মধ্যে। বিশেষ করে সোমবার পার্ক সার্কাস এলাকায় বাজারের চাঙর ভেঙে এক ব্যক্তি আহত হওয়ার পর থেকে সেই উদ্বেগ আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় আগামী দিনে পুরনিগম কী ব্যবস্থা নেয়, সেই দিকেই তাকিয়ে থাকছেন স্থানীয়রা।