হাসপাতালে মর্গে শুয়ে থাকা দেহ কি আদৌ অভিজিতের? ডিএনএ রিপোর্ট জানতে চায় পরিবার

গত চার মাস ধরে অভিজিতের দেহ কমান্ডো হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পচে-গলে সেই দেহ আর চেনার কোনও উপায় নেই।

হাসপাতালে মর্গে শুয়ে থাকা দেহ কি আদৌ অভিজিতের? ডিএনএ রিপোর্ট জানতে চায় পরিবার
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 1:24 PM

কলকাতা: চার মাস কেটে গিয়েছে অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর পর। এখনও মর্গেই পড়ে রয়েছে তাঁর দেহ। তবে, সেই দেহ আদৌ  অভিজিৎ সরকারের কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে পরিবারের। প্রমাণ লোপাট করতে অভিজিতের দেহ পুলিশ সরিয়ে দিয়েছিল বলেও অভিযোগ পরিবারের। মৃতদেহ শনাক্ত করতে ইতিমধ্যেই হয়েছে ডিএনএ পরীক্ষা। সেই রিপোর্ট রয়েছে সিবিআই-এর হাতে। তাই ওই দেহ অভিজিতের কি না, তা এখনও জানে না পরিবার। এবার আইনি পথে সেই ডিএনএ রিপোর্টের জন্য আবেদন জানাতে চলেছে সিবিআই।

অভিজিৎ সরকারের দাদা বিশ্বজিৎ সরকার ডিএনএ রিপোর্টের জন্য আবেদন জানাবেন আদালতে। খামবন্ধ অবস্থায় সেই রিপোর্ট রয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। সেই রিপোর্ট জানতে চাইবে পরিবার। যদি ওই রিপোর্টে দেখা যায় যে মৃতদেহ অভিজিতের। তাহলে পরিবারের তরফে দেহ সৎকার করার ব্যবস্থা করা হবে। আর যদি সেই দেহ অন্য কারও হয়, তাহলে অভিজিতের দেহ কোথায় গেল? তা জানতে চেয়ে আবেদন করা হবে পরিবারের তরফে।

গত কয়েক মাস ধরে অভিজিতের দেহ কমান্ডো হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। পচে-গলে সেই দেহ আর চেনার কোনও উপায় নেই। বিধানসভা নির্বাচনের পর যে সব ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ উঠেছে, তার মধ্যে অন্যতম এই অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু। রাজনৈতিক হিংসার জেরে তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। তদন্তের স্বার্থেই দাহ করা হয়নি অভিজিতের দেহ। গত চার মাস ধরেই মর্গে পড়ে রয়েছে সেই বিজেপি কর্মীর দেহ। ইতিমধ্যেই সেই ঘটনার তদন্তে সরাসরি জেলে গিয়ে অভিযুক্তদের জেরা করেছে সিবিআই। গত, বৃহস্পতিবারই তদন্তকারী আধিকারিকরা যান প্রেসিডেন্সি জেলে। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচজনকে জেরা করেন তাঁরা।

গত কয়েকদিনে একাধিকবার সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হয়েছেন অভিজিতের দাদা বিশ্বজিৎ। তাঁর কাছ থেকে আধিকারিকেরা ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন বলে সূত্রের খবর। ঘটনার দিন কারা উপস্থিত ছিলেন, কী ভাবে পুরো ঘটনা ঘটল, সেই বিষয়ে সব তথ্য সংগ্রহ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে অভিযুক্ত পাঁচজনকে চিহ্নিত করেছেন অফিসারেরা।

অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুর মেডিকেল রিপোর্ট সংক্রান্ত নথি চেয়ে গত মঙ্গলবারই হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আবেদন জানিয়েছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। এখনও অভিজিৎ সরকারের দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাইকোর্টে রয়েছে। সেই রিপোর্ট দেখতে চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এই সংস্থা। মঙ্গলবার সেই আর্জি নিয়ে হাইকোর্টে যায় তারা।

এর আগে গত সোমবারই অভিজিতের দাদাকে ডেকে পাঠানো হয় নিজাম প্যালেসে। সূত্রের খবর, ওই দিন অভিজিৎ সরকারের মোবাইল ফোনে থাকা বেশ কিছু ভিডিয়ো নিয়ে তদন্তকারীদের সঙ্গে কথা বলেন বিশ্বজিৎ। তাঁর বক্তব্য, অভিজিৎ সম্ভবত আগেই বুঝতে পেরেছিলেন, তিনি খুন হতে পারেন। সেই জন্যই নিজের মোবাইল ফোন লুকিয়ে রেখেছিলেন বলে মনে করছেন বিশ্বজিৎ। আরও পড়ুন: মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার হতে পারেন, আদালতের কাছে সুরক্ষাকবচ চাইলেন শুভেন্দু!