Exam Paper Leaked: ‘এটা বিশ্বাসঘাতকতা’, ডিএলএডের প্রশ্নপত্র ‘ফাঁস’ হওয়ায় ‘ষড়যন্ত্রে’র গন্ধ পেলেন পর্ষদ সভাপতি

DElEd question leak: অতীতে যে অভিযোগ উঠেছে, তে এড়াতে এবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ একাধিক ব্যবস্থা নিয়েছিল।

Exam Paper Leaked: 'এটা বিশ্বাসঘাতকতা', ডিএলএডের প্রশ্নপত্র 'ফাঁস' হওয়ায় 'ষড়যন্ত্রে'র গন্ধ পেলেন পর্ষদ সভাপতি
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 28, 2022 | 7:25 PM

কলকাতা: এটাকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া বলে না, এটাকে বলব ‘বিট্রেয়াল’ (বিশ্বাসঘাতকতা)। ডিএলএড পরীক্ষার আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল। সোমবার ছিল ডিএলএড-এর সেমেস্টার। এই পরীক্ষা নিয়ে পর্ষদের তরফে একাধিক সাবধানতাও অবলম্বন করা হয়েছিল পর্ষদের তরফে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। প্রশ্নপত্র যে ফাঁস হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নিল পর্ষদ। তবে নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল না বলে দাবি করেছেন পর্ষদ সভাপতি।

সোমবার সকাল থেকেই সোশ্য়াল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছিল এক প্রশ্নপত্রের ছবি। যার ওপরে লেখা ছিল ‘ডিএলএড- পার্ট টু এক্সামিনেশন’। আর সোমবার থেকেই শুরু হয়েছে ডিএলএড। প্রশ্নপত্রটি আদৌ ডিএলএড-এর কি না, তা নিয়ে প্রথমে সন্দেহ ছিল। কিন্তু পরীক্ষাপ পর একাধিক পরীক্ষার্থী দাবি করেন, ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ডিএলএডের প্রশ্ন ১০০ শতাংশ মিলে গিয়েছে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরই তড়িঘড়ি সাংবাদিক বৈঠক ডাকেন গৌতম পাল।

একদিকে যখন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ তথা গোটা শিক্ষা ব্যবস্থার বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে, তখন এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে পর্ষদের। তবে, পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের দাবি, কেউ বা কারা পর্ষদ তথা রাজ্য সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্যই এমনটা করেছেন। তাঁর কথায়, পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা যদি এমন কোনও বিশ্বাসঘাতকতার কাজ করেন, তাহলে তাতে পর্ষদের কিছু করার নেই।

তবে, বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছেন গৌতম পাল। তিনি জানান, পরীক্ষা শেষ হলে তিনি একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করবেন। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে পর্ষদ।

গৌতম পাল জানান, যেহেতু অতীতে ডিএলএড নিয়ে অনেক অভিযোগ উঠেছে, পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তাই এবার নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখা হয়নি।  হোম সেন্টারে না নিয়ে রাজ্য সরকারি স্কুল ও কলেজগুলিতে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁর দাবি, পর্ষদ যত স্বচ্ছতা বজায় রাখার চেষ্টা করছে, ততই পর্ষদকে পিছনের টানার চেষ্টা করছেন কেউ বা কারা। তিনি আরও জানান, সোমবার বিভিন্ন পরীক্ষা কেন্দ্রে অত্যন্ত নিয়ম মেনে পরীক্ষা হয়েছে, কোনও বিশৃঙ্খলা হয়নি, মসৃণভাবে পরীক্ষা হয়েছে। আর ৪৬ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থীই প্রশ্ন জেনে পরীক্ষা দিয়েছেন বলে মনে করেন না তিনি।