Priyanka Sau: চাকরির নির্দেশের পর চোখে জল প্রিয়াঙ্কার, বললেন ‘আদালতই শেষ ভরসা’
Priyanka Sau: নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলায় প্রিয়াঙ্কা সাউকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
কলকাতা : চাকরির দাবিতে আন্দোলন আজকের নয়। দীর্ঘদিন ধরে রোদ, বৃষ্টির তোয়াক্কা না করে পথে নেমে আন্দোলন করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার তেমনই এক আন্দোলনকারী প্রিয়াঙ্কা সাউকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২৯ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তবে কি আদালতে যাওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই আন্দোলনকারীদের? সেই প্রশ্নই তুলে দিলেন প্রিয়াঙ্কা। তিন বছর পর স্বপ্ন যখন দোরগোড়ায়, তখন আনন্দে চোখে জল চলে এল প্রিয়াঙ্কার।
প্রিয়াঙ্কার অভিযোগ ছিল, তাঁর থেকে কম নম্বর পাওয়া প্রার্থীরও চাকরি হয়েছে, অথচ তাঁর চাকরি হয়নি। এ দিন আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর TV9 বাংলার মুখোমুখি হয়ে প্রিয়াঙ্কা জানান, অনেক দিন ধরে আন্দোলন করেছেন তিনি। সহযোদ্ধাদের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি বুঝে যান, আন্দোলন করে কোনও লাভ হবে না, আদালতেই যেতে হবে তাঁকে।
প্রিয়াঙ্কা জানান, তিনি বেকার তাই আদালতে যেতে ভয় পেয়েছিলেন প্রথমটায়। আইনি পথে লড়তে গেলে অনেক টাকার দরকার, সময়ও লেগে যেতে পারে অনেক, তাই মামলা করার আগে কিছুটা দ্বিধা ছিল তাঁর। তবে পরে সিদ্ধান্ত বদল করেন তিনি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, একমাত্র ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার ওপরেই ভরসা রাখতে পারেন তিনি। সেই আইনি লড়াইতেই ববিতা সরকারের পর এবার জয়ী প্রিয়াঙ্কা। কিন্তু চাকরির জন্য আদালতে যেতে হবে কেন? কেন আন্দোলনের আওয়াজ পৌঁছবে না সরকারের কানে? তা নিয়ে আক্ষেপ রয়েছে প্রিয়াঙ্কার।
এ ভাবে কি আদালত সত্যিই কোনও বার্তা দিতে পারছে? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রিয়াঙ্কা বলেন, ‘আদালত অবশ্যই বার্তা দিচ্ছে। প্রথম বার্তা হল, শিক্ষা ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা যে শিক্ষা ব্যবস্থার মেরুদণ্ড ভেঙে দিচ্ছেন, সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।’ তিনি মনে করেন, যোগ্য প্রার্থীরা স্কুলে যেতে পারলে শিক্ষা ব্যবস্থা নতুন রূপ দেখা যাবে।
উল্লেখ্য, একাদশ-দ্বাদশের নিয়োগে তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও চাকরি পাননি প্রিয়াঙ্কা। শুনানির পর বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, ২৯ অক্টোবরের মধ্যে তাঁকে নিয়োগপত্র দিতে হবে। কলকাতায় অর্থাৎ প্রিয়াঙ্কার বাড়ির কাছে তিনটি স্কুলের মধ্যে একটি পছন্দ করতে দিতে হবে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি।