BSF jurisdiction extension: ‘নন-বর্ডার এলাকাতেও কেন বিএসএফ?’ ক্ষমতাবৃদ্ধি-বিরোধী প্রস্তাব পাস বিধানসভায়

BSF jurisdiction extension: তৃণমূলের দাবি, সীমান্ত এলাকার বাইরেও বিএসএফ-এর হাতে জ্ঞমতা তুলে দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপির দাবি দেশের সুরক্ষার কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

BSF jurisdiction extension: 'নন-বর্ডার এলাকাতেও কেন বিএসএফ?' ক্ষমতাবৃদ্ধি-বিরোধী প্রস্তাব পাস বিধানসভায়
প্রস্তাব পাস বিধানসভায় (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 16, 2021 | 5:15 PM

কলকাতা : বিএসএফ (Border Security Border)-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধির বিরোধিতা করে আজ সরকারি প্রস্তাব আনা হয়েছিল বিধানসভায় (Assembly)। ভোটাভুটিতে পাস হয়ে গেল সেই প্রস্তাব। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ১১২টি ও বিপক্ষে ভোট পড়েছে ৬৩টি। বিএসএফের এক্তিয়ার বাড়ালে সংবিধানের বিরোধিতা করা হবে বলে দাবি তৃণমূল (TMC) সরকারের। এই ইস্যুতেই এ দিন সরব হয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়কেরা। এই প্রসঙ্গে বিধানসভার পরিষদীয় নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ক্রমশ সীমান্তবর্তী নয়, এমন এলাকাতেও ক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে বিএসএফ-এর। এ দিন ভোট দেননি আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি।

কেন্দ্রীয় সরকার বিএসএফের এলাকাবৃদ্ধির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আদতে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর ওপরে আঘাত, এই মর্মেই সরকারি প্রস্তাব আনা হয় মঙ্গলবার। এই ইস্যুতে এ দিন বিধানসভায় সরব হন উদয়ন গুহ, তাপস রায় সহ তৃণমূল বিধায়কেরা।

এ দিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই রাজ্যের সীমান্তে নজরদারি চালানোর লক্ষ্য়ে বিএসএফ-এর এলাকা ১৫ থেকে ৫০ কিলোমিটার করা হয়েছে। আমরা মনে করি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করার দায়িত্ব রাজ্যের। যে কোনও অপরাধের তদন্ত করার অধিকার একমাত্র রাজ্য পুলিশের হাতে। এটা সংবিধানের সপ্তম ধারায় বলা আছে।’ তাই কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তি সংবিধানের ধারাকে লঙ্ঘিত করছে বলে দাবি করেন তিনি। তাই এই বিরোধিতা বলে উল্লেখ করেন পার্থ।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সীমান্ত রক্ষা সুনিশ্চিত করা বিএসএফ-এর কাজ। কিন্ত তারা ক্রমশ নন-বর্ডার এলাকায় ঢুকে যাচ্ছে। এলাকা বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে রাজ্য পুলিশের ভূমিকা খর্ব করা হচ্ছে।’ এটা কার্যকর করা হলে মোট ১১টি জেলা সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে বলে জানান তিনি। পার্থ বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সিংহভাগ, বাংলার ৩৭ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার হাতে। অর্থাৎ পিছন দরজা দিয়ে কেন্দ্রীয় শাসনের যে ইঙ্গিত বিজ্ঞপ্তিতে আছে, আমরা তার বিরোধিতা করছি।’

এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘এই বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূলের সংখ্যগরিষ্ঠতা আছে, তাই কোনও দিন আমরা হয়ত দেখব ভারতের সীমান্ত সুরক্ষার বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাস করবে, কোনও দিন ভারতের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে এরা প্রস্তাব পাস করবে। বলবে ভারতের কোনও সুরক্ষার দরকার নেই। এরা ভুলে যায় যে এটা পশ্চিমবঙ্গের সুরক্ষার বিষয় নয়, ভারতের সুরক্ষার বিষয়।’ তৃণমূল সরকার বিধানসভায় বসে অধিকার বহির্ভূত চর্চা করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘এ ভাবে তৃণমূল শত্রুদের ইন্ধন জোগাচ্ছে, সন্ত্রাসবাদীদের ইন্ধন জোগাচ্ছে।’ সরকারের এই প্রস্তাব নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

ইতিমধ্যেই পাঞ্জাব বিধানসভায় এই মর্মে প্রস্তাব পাশ হয়েছে। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এ কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা লোকসভার কংগ্রেস দলনেতা অধীর চৌধুরী। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিএসএফের হাতে ক্ষমতা দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারের বিধিবদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করে সোমবারেরই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়েছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও।

আরও পড়ুন : BSF issue in Assembly: বিজেপি বিধায়কের হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি, বিধানসভায় অধ্যক্ষের ভর্ৎসনার মুখে উদয়ন