R G Kar Hospital: অনশনরত সন্তানদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন, প্রতীকী অনশনে হবু চিকিৎসকদের অভিভাবকরা

R G Kar Hospital: "মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। একজন ছাত্র অনশনের জেরে সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। প্লিজ কিছু করুন।"

R G Kar Hospital: অনশনরত সন্তানদের আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন, প্রতীকী অনশনে হবু চিকিৎসকদের অভিভাবকরা
আরজি কর হাসপাতালে অভিভাবকদের প্রতীকী অনশন (নিজস্ব চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 23, 2021 | 5:10 PM

কলকাতা: এক টানা ২০ দিন। না খেয়ে প্রিন্সিপালের পদত্যাগের দাবিতে অনশন আন্দোলন চালাচ্ছেন আরজি কর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিত্সকরা। মাঝে পেরল উত্সবের মরশুম। তবুও আন্দোলনে নাছোড় তাঁরা। ইতিমধ্যেই সিসিইউতে ভর্তি এক আন্দোলনকারী চিকিত্সক। এবার অনশনরত সন্তানদের পাশে দাঁড়াতে মঞ্চে এবার অভিভাবকরা। অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের পদত্যাগের দাবিকে নৈতিক সমর্থন জানিয়ে করলেন প্রতীকী অনশন।

তাঁদের বক্তব্য, অন্য কোনও অধ্যক্ষের সময় তো সমস্যা হয়নি? সন্তানদের চিকিৎসক করার জন্য অধ্যক্ষের হাতে সন্তানদের সঁপে দিয়েছিলাম। সেই অধ্যক্ষের এমন দাম্ভিক আচরণ কেন? প্রশ্ন অভিভাবকদের। এক অনশনকারী ছাত্রের মায়ের আবেদন, “উৎসবের সময় না খেয়ে ছেলেমেয়েগুলো বসে রয়েছে। মায়ের বুক ফাটে না।”

অনশন মঞ্চে হাজির অভিভাবকেরা বলছেন, “মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একমাত্র এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। একজন ছাত্র অনশনের জেরে সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। প্লিজ কিছু করুন।” হাতজোড় করে আর্জি মায়েদের।

শনিবার সকাল থেকেই আরজিকর হাসপাতালের চিত্রটা বলে দিচ্ছিল অনেক কিছু। সকালে পিজিটিরা কালো ব্যাজ় পরে কাজে যোগ দেন। পরবর্তীতে দেখা যায় কাজে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে চিঠি দেন ইন্টার্নরা। সেই দিকটা মাথায় রেখেই মনে করা হচ্ছে, ২০ দিন পর আরজিকর হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

কিন্তু এখনও জিইয়ে রয়েছে অভ্যন্তরীণ অশান্তি। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এখনও সোচ্চার হবু চিকিত্সকরা। ২০ দিন ধরে টানা আন্দোলন চলছিল। এর আগে সপ্তাহের শুরুতেই পিজিটিদের উদ্দেশে একটি নোটিস জারি করেন কর্তৃপক্ষ। তাতে বলা হয়, যদি তাঁরা কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদের নামের পাশে অনুপস্থিত বলে উল্লেখ করা হবে। অর্থাত্ তাঁরা ডিউটি রোস্টারে অনুপস্থিত বলে গণ্য হবে। এরপরই দেখা যায় পিজিটি চিকিত্সকরা আন্দোলন মঞ্চ থেকে সরে আসেন।

এরপর কর্তৃপক্ষ চাইছে যাতে ইউজি আন্দোলনরত পড়ুয়ারাও ক্লাসে যোগ দেন। সামনেই ওয়েস্ট বেঙ্গল স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার আগে উপস্থিতির হার নিয়ে নোটিস জারি করলেন কর্তৃপক্ষ। থিওরি ক্লাস পড়ুয়াদের ৭৫ শতাংশ হাজিরা, প্র্যাকটিক্যালে ৮০ শতাংশ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু অনশনকারী পড়ুয়ারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কোনওরকম চাপের মুখে মাথা নত করবে না তাঁরা।

প্রসঙ্গত, এসএসকেএমের নার্সেস ইউনিটির আন্দোলন তোলার জন্য সরকারপক্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছিল, আরজিকরের এই আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সরকার একই পদক্ষেপ করবে। সেই সম্ভাবনার খবর সম্প্রচারিত করেছিল TV9 বাংলা। ঘটনাচক্রে দেখা যায়, জনৈক এক ব্যক্তি আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় বলা হয়, অতিমারি পরিস্থিতিতে হাসপাতালে এইভাবে আন্দোলন চালানো যায় না। জুনিয়র চিকিত্সকরা সেই কাজটাই করছেন। এই পরিস্থিতিতে জুনিয়র চিকিত্সকরা কর্তৃপক্ষকে একটা বার্তা দিয়ে রাখলেন, যে তাঁরা আন্দোলনে আছেন, কর্মবিরতিতে নেই।

আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: নেত্রীর পায়ে ধরে বলেছি, গদ্দারদের দলে ঢোকানো যাবে না