AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

R G Kar Hospital: হস্টেলে মধ্যরাতে অভব্য আচরণের শিকার আরজি করের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র

R G Kar Hospital: তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দেওয়ার জন্যও তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হয়। বিস্তারিত জানিয়ে টালা থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন অনুভব। ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার আগে এই ঘটনায় আতঙ্কিত মেডিক্যাল পড়ুয়া।

R G Kar Hospital: হস্টেলে মধ্যরাতে অভব্য আচরণের শিকার আরজি করের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র
| Edited By: | Updated on: Jan 15, 2023 | 2:28 PM
Share

কলকাতা: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের  ফাইনাল ইয়ারের ছাত্র অনুভব মণ্ডলকে হুমকি ও হস্টেল থেকে তাঁর জিনিসপত্র বার করে দেওয়ার অভিযোগ। অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সমর্থিত ইন্টার্ন চিকিত্‍সকরা। অনুভবের অভিযোগ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আন্দোলনে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে প্রায়ই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। তৃণমূল ছাত্র পরিষদে যোগ দেওয়ার জন্যও তাঁর ওপর চাপ দেওয়া হয়। বিস্তারিত জানিয়ে টালা থানায় জেনারেল ডায়েরি করেছেন অনুভব। ফাইনাল ইয়ার পরীক্ষার আগে এই ঘটনায় আতঙ্কিত মেডিক্যাল পড়ুয়া।

অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা অনুভব মণ্ডলকে একাধিকবার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি তাঁকে হোস্টেল থেকে বার করে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ। তাঁর জিনিসপত্র হোস্টেল থেকে বাইরে বার করে দেওয়া হয়। শেষমেশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হন অনুভব। তারপর প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে।

শনিবার বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানান অনুভব। তারপর তিনি হোস্টেলে ঢোকেন। বিষয়টি বর্তমানে স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করার জন্যই চাপ তৈরি করা হচ্ছিল। তিনি টালা থানায় যে জেনারেল ডায়েরি করেছেন, তাতে অনেকেরই নাম রয়েছে। তাঁরা প্রত্যেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ করেন। তাঁরাই কার্যত এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ।

অনুভবের কথায়, “তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বিভিন্ন ছেলে, তাঁরা আরজিকর কলেজেরই ছাত্র, তাঁরা আমার ওপর চাপ তৈরি করেছেন। মূল সারিফ হাসান, সৌরভ মাজি, বিশ্বদ্বীপ মজুমদার, অভিষেক সেন, আশিস পান্ডে আমার ওপর দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক চাপ তৈরি করছেন। এর পিছনে অবশ্যই রাজনৈতিক কারণ রয়েছে। কারণ আমরা ২০২১ সালে আন্দোলন করেছিলাম। আমি অনশনে ছিলাম। তারপর থেকেই আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।”

আরেক মেডিক্যালের ছাত্র চন্দ্রমৌলি ঝাঁ বলেন, “অনুভবকে বেশ কিছুদিন ধরেই টিএমসিপি জয়েন না করার জন্য হেনস্থা করা হচ্ছে। মেডিক্যালের আন্দোলনরত ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতে অনুভব গিয়েছিল। তারপর থেকেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বলা হচ্ছিল. সরকার বিরোধী আন্দোলনে গেলে হোস্টেলে থাকতে দেওয়া হবে না।”

এবিষয়ে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা পুণ্যব্রত গুহ বলেন, “আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে যখন আন্দোলন হচ্ছিল, তা থেমে যাওয়ার পর জুনিয়র ডাক্তার ও ছাত্রদের দোষী সাব্যস্ত করার জন্য বেশ কয়েকজন ছাত্রকে ফেল করানো হয়েছিল। তারা যদি মুচলেখা না দেয়, তাদের ইন্টার্নশিপ করানো হবে না, এরকম একটা ব্যবস্থা হয়েছিল। দুজন অসম্মতি জানিয়েছিল। চন্দ্রমৌলি ঝা ও মৌনিক রায়। হাইকোর্টে একটা মামলাও হয়। চন্দ্রমৌলির এখনও ইন্টার্নশিপ দেওয়া হয়নি। এটা কোনও ব্যতিক্রমী ঘটনা হয়। এটা আরজিকরে লাগাতর হচ্ছে।” তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি ত্রিণাঙ্কুর ভট্টাচার্য বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই।”