Rajbhawan: স্বাস্থ্য দফতরের অধীনস্থ স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিকাশ ভবনের কাছে রিপোর্ট তলব রাজভবনের
Health University: স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। চিকিৎসক সংগঠনের চিঠিতে তার উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষাহলে মোবাইল হাতে ঘুরতে দেখা যায় বর্ধমান মেডিক্যালের আরএমওকে।
কলকাতা: রাজভবনের সঙ্গে রাজ্যের দ্বন্দ্ব কাটছেই না। এরই মধ্যে নতুন ধন্দ তৈরি হয়েছে রাজভবনের পদক্ষেপে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত অভিযোগ, অথচ বিকাশ ভবনের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে রাজভবন। যা ঘিরে জোর চর্চা বিভিন্ন মহলে। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে অরাজকতার অভিযোগ উঠছে গত কয়েকদিন ধরে। এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি দেয় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স। রাজভবনের হস্তক্ষেপের আর্জি জানায় তারা। সেই অভিযোগে মান্যতা দিয়ে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করে রাজভবন। তবে সেই রিপোর্ট চাওয়া হয় বিকাশ ভবনের কাছে। এদিকে বিকাশ ভবনের আওতাধীন উচ্চশিক্ষা দফতর। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় তো বিকাশ ভবনের অধীনে কিংবা উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে নয়। তাহলে বিকাশ ভবনের কাছে এই রিপোর্ট তলবের অর্থ কী?
স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। পরিবারতন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত তিনি। চিকিৎসক সংগঠনের চিঠিতে তার উল্লেখ করা হয়। অন্যদিকে কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষাহলে মোবাইল হাতে ঘুরতে দেখা যায় বর্ধমান মেডিক্যালের আরএমওকে। এ খবর সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে যায় চিকিৎসক মহলে। জানা যায়, গত ২৬ মে উত্তরবঙ্গে যে পরীক্ষা হয়, সেখানে পর্যবেক্ষক ছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলের সদস্য চিকিৎসক অভীক দে। একজন আরএমও-র পর্যবেক্ষক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। সঙ্গে পরীক্ষাহলে আবার ফোনের ব্যবহার। এ নিয়েও রাজ্যপালকে জানানো হয় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্সের চিঠিতে।
এরপরই রাজভবন চিঠি দেয় বিকাশ ভবনকে। কিন্তু স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় স্বাস্থ্য দফতরের অধীনে। অন্যদিকে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি পড়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের অধীনে। স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অরাজকতার অভিযোগে তাহলে বিকাশ ভবন কীভাবে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট দেবে? তাহলে কি বিষয়টি রাজভবনের কাছে স্পষ্ট নয়?, এ প্রশ্নও করছেন কেউ কেউ।