Pakistan’s eyes on Kashmir: তৈরি হচ্ছে ‘সরকারি’ জঙ্গি, পাহারা দিচ্ছে কমান্ডো বাহিনী, ফের কাশ্মীর হানার ‘মওকা’ খুঁজছে পাকিস্তান?
Pakistan's eyes on Kashmir: লা-স্পেকটাকেল বলছে, পাকিস্তানে এই মুহূর্তে পাঁচশোর বেশি প্রাথমিক স্কুল বা মাদ্রাজা চালাচ্ছে জেইএম। এর টাকাও ঘুরপথে পাক শিক্ষামন্ত্রকের খাত থেকেই যাচ্ছে। তিন, জইশ এখন পাকিস্তানে একের পর এক সম্পত্তি কিনছে। শপিং মল, আবাসন, কমার্সিয়াল কমপ্লেক্স, বাস টার্মিনাস এবং আরও অনেক কিছু।
পাকিস্তানের জি- টোয়েন্টি ওয়ান। পাক সেনা, আইএসআই, জইশ-ই-মহম্মদ। সঙ্গে আরও টোয়েন্টি ওয়ান। জইশ-ই-মহম্মদকে মুখ করে টেরর নেটওয়ার্ক ঢেলে সাজানো শুরু করেছে পাক সেনা ও আইএসএস। পাক প্রশাসনের অন্দরের হাঁড়ির খবর বের করে এনেছে লা – স্পেকটাকেল ডু মুনডে। ফ্রান্সের প্রথম সারির ইনভেস্টিগেটিভ ম্যাগাজিন। ফরাসি ম্যাগাজিন জইশ-ই-মহম্মদ বা জেইএমের সঙ্গে পাক প্রশাসন- মন্ত্রী এমনকি দেশের মন্ত্রীদের যোগাযোগটা একেবারে খুল্লমখুল্লা করে দিল। যা নিয়েই এখন জোর চর্চা গোটা বিশ্বে। লা- স্পেকটাকেলের প্রতিবেদনে মূলত তিনটে বিষয় উঠে এল।
এক, পাক – পঞ্জাবের ভাওয়ালপুর এখন জইশ-ই-মহম্মদের নতুন হেড-কোয়াটার্স। ভাওয়ালপুরের এই অফিস থেকে পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরে একশোর বেশি ট্রেনিং ক্যাম্প চালাচ্ছে জইশ। এখানেই তৈরি হচ্ছে জি- টোয়েন্টি ওয়ান। অর্থাত্ ২১টি ছোট জঙ্গি সংগঠনকে এক ছাতার তলায় এনে এক করার কাজ করছে জইশ। এর মধ্যে এমন সংগঠনও রয়েছে, যাঁরা কাশ্মীরে কাজই করেনি। দুই, ফিনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স বা এফএটিএফটির খাঁড়া এড়াতে জইশের ফান্ডিংয়ে মাধ্যমগুলি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পাক প্রশাসন। উল্টে জইশ এখন সরকারি অফিসগুলোতে অফিস খুলে বসেছে এবং সরকারি সংস্থা হিসাবে অপারেট করছে। সরকারি সংস্থা আর এফএটিএফের নেকনজরে পড়বে না! তাই নির্ভয়ে ও বিনা বাধায় কাজ চালানোর ব্যবস্থা হয়ে গিয়েছে। উদাহরণ, পাকিস্তানের গণবন্টন দফতর দেশে একাধিক সুলভ শপিং মল বানিয়েছিল। সস্তায় রেশন বণ্টনের জন্য এই শপিং মলগুলির ইজরা দেওয়া হয়েছে লস্করকে। দুই, এই মুহূর্তে পাক সরকার ও সেনার সঙ্গে জইশের সমন্বয় রাখার কাজটা করছেন জইশ সুপ্রিমো মাসুদ আজহারের ভাইপো আতাউল্লা কাসিফ। তাঁকে ২৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা দেয় পাক পুলিশের কমান্ডো বাহিনী।
লা-স্পেকটাকেল বলছে, পাকিস্তানে এই মুহূর্তে পাঁচশোর বেশি প্রাথমিক স্কুল বা মাদ্রাজা চালাচ্ছে জেইএম। এর টাকাও ঘুরপথে পাক শিক্ষামন্ত্রকের খাত থেকেই যাচ্ছে। তিন, জইশ এখন পাকিস্তানে একের পর এক সম্পত্তি কিনছে। শপিং মল, আবাসন, কমার্সিয়াল কমপ্লেক্স, বাস টার্মিনাস এবং আরও অনেক কিছু। পঞ্জাব ও রাওলপন্ডিতে জেইএমের দুটি কমার্সিয়াল কমপ্লেক্সের দাম হাজার কোটির বেশি। সম্ভবত এই টাকার একটা অংশ জম্মু-কাশ্মীরে ঢালার প্ল্যান করে মাসুদ আজহার ও তাঁর দলবল। এই খবরের কিছুটাও যদি সত্যি হয় তা হলে অনেকেই বলছেন কাশ্মীরে বড় কিছু ঘটনার জন্য তৈরি হচ্ছে জইশ। তৈরি হচ্ছে পাকিস্তান। ওয়াকিবহাল মহলের একাংশের মতে, একের পর এক খুন করে জঙ্গিরা আতঙ্ক তৈরির যে কৌশল নিয়েছিল, তা খুব একটা কাজে লাগেনি। উপত্যকায় আগের মত আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করা যায়নি। তাই এবার অন্য পথ ধরছে পাকিস্তান! এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের বড় অংশের।