Ration: রেশন নিয়ে ক্যাগকে বিশদ তথ্য দেয়নি রাজ্য, অভিযোগ RTI কর্মীর
Ration: বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন, "২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাগ দফতর চিঠি লিখে জানায়, তারা রেশন কার্ড ও যাবতীয় বিষয়ে অডিট করতে চায়। ক্যাগকে যেন তথ্য দেয়। দফতর ক্যাগকে কোনও তথ্য তো দেয়ইনি। সেই চিঠির কোনও উত্তরও দেয়নি। ক্যাগ বাধ্য হয়ে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে আবার একটি চিঠি লেখে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। তারও উত্তর দফতর দেয়নি।"
কলকাতা: রেশন বণ্টন দুর্নীতি নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য। এরইমধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামীর। বিশ্বনাথ গোস্বামীর বক্তব্য, রাজ্যে কত রেশন কার্ড আছে, কোন ক্যাটেগরির উপভোক্তা কী পান, রাজ্য সরকার মাসে বা সপ্তাহে কোন কার্ডে কতটা খরচ করছে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল বা ক্যাগ (CAG)-কে তার কিছুই দেয়নি রাজ্য। বিশ্বনাথবাবুর দাবি, আরটিআই করে তিনি এ সংক্রান্ত বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছিলেন ক্যাগের কাছে। ক্যাগ তাঁকে জবাবে জানায়, খাদ্য দফতর কোনও হিসাবই দেয়নি।
বিশ্বনাথ গোস্বামী বলেন, “২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যাগ দফতর চিঠি লিখে জানায়, তারা রেশন কার্ড ও যাবতীয় বিষয়ে অডিট করতে চায়। ক্যাগকে যেন তথ্য দেয়। দফতর ক্যাগকে কোনও তথ্য তো দেয়ইনি। সেই চিঠির কোনও উত্তরও দেয়নি। ক্যাগ বাধ্য হয়ে ওই বছরের ডিসেম্বর মাসে আবার একটি চিঠি লেখে তৎকালীন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। তারও উত্তর দফতর দেয়নি। এখানেই শেষ নয়। ২০১৭ সালের মার্চ মাসে তৎকালীন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও ক্যাগ চিঠি লেখে। তারও জবাব মেলেনি।”
যদিও এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, “জানি না আগে কী হয়েছে না হয়েছে। আমি বলতে পারব না। তবে দফতরে আমি যতদিন গিয়েছি, আমরা চেষ্টা করেছি খাদ্য বিভাগ যাতে মানুষের বিরক্তির কারণ না হয়। এই ধরনের অভিযোগ না ওঠে যাতে তার জন্য সবরকম উদ্যোগই নেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়গুলো নিয়ে আমি ওয়াকিবহাল নই। তাই না জেনে কিছু বলব না।”
এ প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের পিছনে কে আছেন, তা সামনে আনা দরকার। সুজনের কথায়, “১০ কোটি মানুষকে রেশন দেওয়ার কথা বলা হয়। তার মধ্যে সাড়ে ৭ কোটির মতো মানুষ রেশন নেন। তাহলে আড়াই কোটি মানুষের রেশন কোথায় গেল? রাজ্য সরকারকে তার দায় তো নিতেই হবে। ক্যাগ বারবার রিপোর্ট চাওয়ার পরও সরকার নির্বিকার থেকেছে লুঠকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য।”