Recruitment Scam: দুর্নীতির কালো টাকা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে পৌঁছে দিতেন আরেক ‘পার্থ’, নতুন তথ্য সামনে আনল CBI
Recruitment Scam: পার্থ সরকার নিজে প্রথমে টাকা সংগ্রহ করতেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দাবি, দুর্নীতির কালো টাকা প্রথমে সংগ্রহ করতেন পার্থ সরকার। পরে তা পৌঁছে দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে উঠে এল প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ আরও একজনের নাম। পার্থ সরকার ওরফে ভজার মাধ্যমেই দুর্নীতির কালো টাকা পৌঁছত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। এমনটাই দাবি সিবিআই-এর। পার্থ সরকার নিজে প্রথমে টাকা সংগ্রহ করতেন। নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া প্রাক্তন তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষের দাবি, দুর্নীতির কালো টাকা প্রথমে সংগ্রহ করতেন পার্থ সরকার। পরে তা পৌঁছে দিতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।
এই বিষয়ে ক্যামরার সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি পার্থ সরকার। তবে ফোনে তিনি Tv9 বাংলাকে জানান যে কুন্তলকে তিনি চিনতেন না। বেহালায় আগে কখনও তাঁকে দেখেননি। নিয়োগ দুর্নীতির পরই তিনি কুন্তলের নাম জানতে পারেন বলে জানান পার্থ সরকার ওরফে ভজা। পার্থবাবু বলেন, “যে আমার নাম বলেছে তাঁকে আমি জীবনে দেখিনি, চিনিও না। ২০০ শতাংশ দায়িত্ব নিয়ে বলছি উনি বেহালায় একদিনও আসেননি। এই কেসের পর তাঁর নাম শুনেছি।”
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন কুন্তল ঘোষ। তাঁকে জেরা করছে ইডি আধিকারিকরা। মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে ইডি।সেই চার্জশিটে নাম রয়েছে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনের। শুধু মণীশ নয়, সেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৎকালীন পিএ সুকান্ত আচার্যেরও নাম রয়েছে সূত্রের খবর। সূত্রের খবর, মণীশ জৈন, WBCS অফিসার সুকান্ত আচার্য এবং এক সময় পার্থর পরিষদীয় দফতরের ওএসডি প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামের উল্লেখ রয়েছে চার্জশিটের একটি অংশে। তাঁরা নিয়োগের ইন্টারভিউ প্রক্রিয়ায় তদারকি করেছিলেন বলে ইডি সূত্রে খবর। যাঁরা টাকার বিনিময়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের নির্ধারিত সময়ের আগেই হয়েছিল ইন্টারভিউ, এমনও সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।