Gopal Dalapati : কোচিংয়ের ছাত্রী প্রথম স্ত্রী, ‘ধুরন্ধর’ গোপালকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলছে প্রাক্তন শ্বশুর-শাশুড়ি
Gopal Dalapati : গোপালের প্রথমপক্ষের স্ত্রীর মা জানাচ্ছেন গোপল যে অসৎ পথে চলছেন তাঁর প্রমাণ তাঁরা পেতে শুরু করেছিলেন অনেক আগেই। সন্দেহ বাড়ছিল তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে।
কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় তাপস মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ গোপাল দলপতির (Gopal Dalapati) কোচিংয়ের খোঁজ মিলেছে দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পোস্ট অফিস রোডে। প্রায় বছর ১৫ আগে এই এলাকাতে গোপাল স্যার হিসাবে পরিচিত ছিলেন গোপাল দলপতি। শিক্ষক হিসাবেও ছিল সুনাম। একসঙ্গে পড়াতে পারতেন একাধিক বিষয়। কোচিং সেন্টারে লেগে থাকত পড়ুয়াদের ভিড়। এই কোচিংয়েই পড়তেন তাঁর প্রথমপক্ষের স্ত্রী। সেখান থেকেই দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। জল গড়ায় প্রেম থেকে বিয়ে পর্যন্ত। এমনটাই জানাচ্ছেন তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর বাবা। তাঁর সাফ দাবি, “বিশ্বাসঘাতকতা করেছে গোপাল। ভুল বুঝিয়ে আমার মেয়েকে বিয়ে করেছিল। এখন আর কোনও সম্পর্ক নেই। ১২ বছর আগেই ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।”
গোপাল দলপতি যে ‘সুশিক্ষক’ ছিলেন সে বিষয়ে দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন একসময় তাঁর কোচিংয়ে পড়া পড়ুয়ারাও। তবে তাঁদের প্রিয় শিক্ষকের কীর্তিকলাপ জেনে খানিক দুঃখও প্রকাশ করলেন তাঁরা। গোপাল দলপতির কোচিংয়েই একসময় পড়তেন অর্ঘ্য কুন্ডু। কেমন ছিল স্যার? প্রশ্ন শুনেই তাঁর উত্তর, “আমি একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ার সময় ওনার কাছে দুবার মক টেস্ট দিয়েছিলাম। শিক্ষক হিসাবেই ওনাকে চিনতাম। শিক্ষক হিসাবে উনি ভালই ছিলেন। ছাত্রদেরও ভালই পড়াতেন। কিন্তু, উনি যে দুর্নীতিতে যুক্ত এটা তো ভাবতেই পারছি না। এটা জেনে খুবই খারাপ লাগছে। ”
এদিকে গোপালের প্রথমপক্ষের স্ত্রীর মা জানাচ্ছেন গোপল যে অসৎ পথে চলছেন তাঁর প্রমাণ তাঁরা পেতে শুরু করেছিলেন অনেক আগেই। সন্দেহ বাড়ছিল তাঁর কর্মকাণ্ড নিয়ে। তিনি বলেন, “ও যে অসৎ তা আমরা বুঝতে পেরেছিলাম। গোপাল যখন আমাদের বাড়িতে প্রথম আসে তখন আমার মেয়ে ক্লাস ওয়ানে পড়ে। আমার মেয়ে ওকে কাকার মতো দেখতো।” একই সুর তাঁর স্বামীর মুখেও। এ প্রসঙ্গে গোপালের প্রথমপক্ষের শ্বশুর বলেন, “গোপাল আমাকে দাদা বলে ডাকত। আমি ওকে ভাই বলে মনে করতাম। ওকে সবাই ভালবাসে। আমিও ভালবাসতাম। সব বিষয়ে ও পারদর্শী ছিল। অঙ্ক, বাংলা, ইংরাজি, ভূগোল, বিজ্ঞান, এমনকী দর্শনেও ও ছিল তুখোড়। খুবই ব্রিলিয়ান্ট ছেলে। কিন্তু, শেষে ওই আমাদের পরিবারের সর্বনাশ করে চলে গিয়েছিল। তবে আমরা যখন ওর এসব কুকর্মের বিষয়ে জানতে পারছি তার অনেক আগে আমার মেয়ের সঙ্গে ওর ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে।”