Recruitment Scam: ‘টাকার বিনিময়ে হত চাকরি, মিলেছে অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা’, তিনজনকে জেল হেফাজতের নির্দেশ
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই ও ইডি। ইতিমধ্যে ওই মামলায় চার্জশিটও পেশ করেছে ইডি।

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতি-কাণ্ডে তিন অভিযুক্তকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আলিপুর বিশেষ সিবিআই আদালত। স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহা এবং প্রদীপ সিং ও প্রসন্নকুমার রায়কে আগামী ৫ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন আদালতে সিবিআই দাবি করে, এই মামলায় কোটি কোটি টাকার লেনদেনে প্রমাণ মিলেছে, তাই অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই ছাড়া যাবে না।
নবম ও দশম শ্রেণির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শান্তিপ্রসাদের ভূমিকা থাকার প্রমাণ রয়েছে বলে দাবি সিবিআই-এর। আর প্রদীপ সিং ও প্রসন্ন কুমার রায়কে মিডলম্যান হিসেবে উল্লেখ করেছে তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের মাধ্যমে টাকার লেনদেন হত, এমন অভিযোগ সামনে আসার পরই প্রদীপ ও প্রসন্নকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পরে প্রসন্নর বিপুল সম্পত্তির হদিশ পান গোয়েন্দারা।
এতদিন পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে ছিলেন এসপি সিনহা ও জেল হেফাজতে ছিলেন প্রদীপ ও প্রসন্ন। বৃহস্পতিবার তাঁদের আদালতে নিয়ে পেশ করা হয়।
এ দিন সিবিআই আদালতে জানিয়েছে, প্রদীপে কম্পিউটার থেকে ‘অযোগ্য’ প্রার্থীদের তালিকা পাওয়া গিয়েছে। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও যে সব প্রার্থীদের নিয়োগ করা হত, তাঁদের সঙ্গে এই প্রদীপ ও প্রসন্ন যোগাযোগ করতেন বলে উল্লেখ করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। তালিকা তৈরি করে পাঠানো হত এসপি সিনহা ও অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে। সিবিআই-এর আরও দাবি, নগদ টাকায় চাকরি দেওয়া হত, টাকা নিতেন প্রসন্ন ও প্রদীপ। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ‘অযোগ্য’ প্রার্থীর নিয়োগ পত্র ও অ্যাডমিট কার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ও সেই সব প্রার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সিবিআই।
এ দিকে, হাইকোর্টে গ্রুপ সি মামলা নিয়ে মুখবন্ধ খামে সিবিআই যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতেই দেখা যাচ্ছে, প্যানেল বাতিল হওয়ার পর এসএসসি-র দায়িত্বে থাকা শান্তিপ্রসাদ সিনহা রিজিওন্যাল কমিশনগুলির থেকে শূন্যপদের তালিকা সংগ্রহ করতেন। সেই অনুযায়ী সুপারিশপত্র তৈরি করে নিজে হাতে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দিতেন শান্তিপ্রসাদ। পার্থর এই দুর্নীতিতে যোগের প্রমাণ মিলেছে বলে আদালতে জানিয়েছে সিবিআই।





