Remdesivir Expired: ৯ লক্ষ টাকার রেমডেজিভির পড়ে পড়ে নষ্ট শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে, দায় কার?
Remdesivir Expired: প্রাথমিকভাবে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় এই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা হলেও, বর্তমানে প্রোটোকল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
কলকাতা : করোনা সংক্রমণের প্রকোপ এখনও কমেনি। কোভিড পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোতে খরচও বেড়েছে অনেক। এরই মধ্যে গুরুতর অভিযোগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে। শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালে পড়ে থেকে নষ্ট হল লক্ষ লক্ষ টাকার রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন। স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে এই ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছিল করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। সেই ইঞ্জেকশনের মেয়াদ পেরলেও তা সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়নি বলেই অভিযোগ। দ্রুত এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া অভিযোগ পত্রে দেখা যাচ্ছে, ২০২১-এর জুন মাসে ৮৫০ টি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন কিনে দেওয়া হয়েছিল শম্ভূনাথ পণ্ডিত হাসপাতালকে। সেই সব ইঞ্জেকশনগুলি ওই বছরের এপ্রিল মাসে তৈরি। হিসেব মতো ২০২১-এর সেপ্টেম্বর মাসে ওই ইঞ্জেকশনগুলির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। তারপরও সেগুলি পড়ে রয়েছে হাসপাতালেই।
স্বাস্থ্য ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, একেকটি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশনের দাম ৯০০ টাকা। অর্থাৎ সব মিলিয়ে সবকটি রেমডেজিভির ইঞ্জেকশনের দাম প্রায় ৯ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। নষ্ট হওয়ায় সত্ত্বেও কেন ওই ইঞ্জেকশনের বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবনকে অবগত করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কার গাফিলতিতে এমনটা হল, তা অবিলম্বে জানতে চায় স্বাস্থ্য় দফতর। দফতরের সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম এই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য প্রাথমিক ভাবে কোভিড রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই রেমডেজিভির ইঞ্জেকশন ব্যবহার করার কথা বলা হলেও, পরে কোভিড চিকিৎসার প্রোটোকল থেকে তা বাদ দেওয়া হয়। সেই কারণেই ইঞ্জেকশনগুলি ব্যবহার করা হয়নি বলেই স্বাস্থ্য় দফতরের দাবি। কিন্তু প্রশ্ন হল, কেন এই বিষয়টি ইঞ্জেকশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে জানানো হল না?
এ ক্ষেত্রে কী নিয়ম?
স্বাস্থ্য় দফতরের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও ওষুধ বা ইঞ্জেকশনের ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুদিন আগে তা জানাতে হয় স্বাস্থ্য় দফতরের সংশ্লিষ্ট বিভাগে। সেই ওষুধ বা ইঞ্জেকশন যেখানে প্রয়োজন, সেখানে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, ফলে সেটা নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এ ক্ষেত্রে হাসপাতালের তরফে দাবি করা হয়েছে সঠিক সময়েই বিষয়টা জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। কার্যত সব পক্ষই দায় এড়িয়ে গিয়েছে। সাধারণ মানুষের করের টাকায় যে ওষুধ কেনা হয়, তা এ ভাবে কেন নষ্ট হল সেই প্রশ্নই সামনে আসছে।
কী এই রেমডেজিভির?
করোনা সংক্রমণের শুরু দিকে চিকিৎসায় এই রেমডেজিভির ব্যবহার করার কথা বলেছিলেন বিষেশজ্ঞরা। পরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়, করোনা চিকিৎসায় এই অ্যান্টি ভাইরাল ড্রাগের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কোভিডের চিকিৎসায় রেমডেজিভির আদৌ কোনও কাজ করে কি না সেই প্রমাণও মেলেনি। ফলে, প্রোটোকব থেকে পরে বাদ দেওয়া হয় এই ইঞ্জেকশন।