RG Kar: মৃতদেহের পাশে কয়েকজন বৈঠক করে, এদের আগে গ্রেফতার করা উচিত, দাবি BJP-র
RG Kar: "সিবিআই-এর কাছে দাবি, আপনারা যে কথা প্রাথমিক রিপোর্টে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছেন, পাঁচদিন পর আপনারা তদন্তের ভার পেয়েছেন। সেমিনার হলের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সব বদল করে দেওয়া হয়েছে।"
কলকাতা: আরজি করের ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে একটি ভাইরাল ভিডিয়ো। যার সত্যতা যাচাই করেনি টিভি ৯ বাংলা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, যে সময় তিলোত্তমার দেহ সেমিনার রুমে পড়েছিল, ঠিক সেই সময় রুমের অন্দরে একাধিক ব্যক্তি। বিজেপির দাবি, এরা সকলে তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্যই সেখানে জটলা করেছিল। তাই তিলোত্তমাকে খুনের ঘটনায়অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের পাশাপাশি এদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা উচিত।
আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন জগন্নাথ চট্টোপাধ্য়ায়। তিনি বলেন, “সিবিআই-এর কাছে দাবি, আপনারা যে কথা প্রাথমিক রিপোর্টে সুপ্রিম কোর্টকে বলেছেন, পাঁচদিন পর আপনারা তদন্তের ভার পেয়েছেন। সেমিনার হলের পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে। সব বদল করে দেওয়া হয়েছে। আমরা যা খবর পাচ্ছি, ওইদিন মৃতদেহকে পাশে রেখে বেশ কিছু লোকজন ওই ঘরে বসে বৈঠক করেন কীভাবে ঘটনা ধামা-চাপা দেওয়া হবে।” তাঁরা এও জানিয়েছেন, “এই ঘটনার ফলে অজস্র লোকের ফুটপ্রিন্ট ও ফিঙ্গারপ্রিন্ট ওই ঘরে ছিল। যদি ওই ঘরে বসে এতজন মিটিং করেন তাহলে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়েছে। যাঁরা খুন বা ধর্ষণ করেছেন, তার পাশাপাশি ঘটনা চাপার জন্য যাঁরা তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করেছেন তাঁরাও সমান অপরাধী। তা সে তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা হোক বা যেই হোক তাদের সবার আগে গ্রেফতার করা উচিৎ।”
প্রসঙ্গত, যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে,সেমিনার রুমের বাইরে শান্তনু দে-কে। তিনি আইনজীবী। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে, এই শান্তনু দে হলেন সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী। তিনি সেই সময় কী করছিলেন? এরপর পাশাপাশি ছিলেন সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ফরেন্সিক চিকিৎসক দেবাশিস সোম। তিনি যদিও আরজি করের কর্মীই নন। তাহলে তিনিই বা ওই রুমে কী করছিলেন? আর ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে, প্রসূন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে তিনি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর হিসাবে কাজ করেন। ফলে এরা সকলে ঘটনার সময় কী করছেন উঠছে প্রশ্ন।