RG Kar case hearing High Court: ‘আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা’, আর জি কর নিয়ে বার্তা হাইকোর্টের

RG Kar case hearing High Court: আর জি কর নিয়ে আগের নির্দেশ বহাল রাখলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি। নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

RG Kar case hearing High Court: 'আদালতের নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা', আর জি কর নিয়ে বার্তা হাইকোর্টের
টেট উত্তীর্ণদের মামলা দায়ের কলকাতা হাইকোর্টে। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 15, 2021 | 2:43 PM

কলকাতা: আর জি কর (RG Kar Medical) আন্দোলন নিয়ে এবার চিকিৎসক পড়ুয়াদের কড়া বার্তা দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। আন্দোলনের জন্য হাসপাতালে কোনওভাবে যাতে রোগীদের অসুবিধা না হয়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখনও চিকিৎসক পড়ুয়াদের আন্দোলন চলছে আর জি কর হাসপাতালে। অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতেই মূলত এই আন্দোলন চলছে। আগেই হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে, আন্দোলন চললে রোগীদের কোনও অসুবিধা না হয়। এবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি সেই নির্দেশ বহাল রাখলেন। নির্দেশ অমান্য করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ দিন প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব জানান, কোনওভাবে পরিষেধবা বিঘ্নিত হলে তার দায় নিতে হবে আন্দোলনকারীদের। আগেই আন্দোলন নিয়ে আদালতের নির্দেশ রয়েছে। এবার বিচারপতি জানালেন, নির্দেশ না মানা হলে ফল সিরিয়াস হতে পারে। আগামিকাল মঙ্গলবার ফের এই মামলার শুনানি রয়েছে।

আজ আদালতে রাজ্যের তরফে এই আন্দোলনের বিরুদ্ধে খোলাখুলি অভিযোগ জানানো হয়েছে আদালতে। এ দিন আদালতে অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, এটি একটি টার্সিয়ারি, সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আর সেখানে আন্দোলন চলাকালীন ভবিষ্যতের চিকিৎসকরা মাঝে মাঝেই অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করছেন। এতে বাংলার সম্মান নষ্ট হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি। সাইলেন্স জোনেও মাইক বাজছে বলে উল্লেখ করেন এজি। প্রিন্সিপালকে সরানোর দাবিতে যেভাবে আন্দোলন চলছে তা মানা যায়না বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি।

এক মাসের বেশি সময় ধরে আরজি করে চলছে আন্দোলন। অনশনের কারণে হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নন্দলাল তিওয়ারি নামে জনৈক ব্যক্তি। অবিলম্বে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আদালতের হস্তক্ষেপ চেয়ে এই মামলা দায়ের করেন নন্দলাল। সেই মামলায় আগেই আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, আন্দোলন শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। কোনও রকম মাইকিং করা যাবে না। একই সঙ্গে তিনি আন্দোলনকারীদের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, ‘আপনাদের সমস্যা কাকে জানাতে চান?’। জবাবে আন্দোলনকারীরা বলেছিলেন, নিজেদের মধ্যে কথা বলতে চান তাঁরা। মেন্টর গ্রুপে যাঁরা আছেন, তাঁদের ওপর ভরসা নেই।

অধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে এখনও চলছে আন্দোলন। তাঁদের দাবি, অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এমন কিছু সিদ্ধান্ত নেন যা অগণতান্ত্রিক। যেখানে অধ্যক্ষের স্বৈরাচারী মনোভাব স্পষ্ট হয়। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গত ৯ অগস্ট আমরা মিটিংয়ে বসতে চেয়ে প্রিন্সিপাল স্যারের কাছে যান তাঁরা। অধ্যক্ষ মিটিং না করায় অবস্থানে বসতে বাধ্য হন তাঁরা। ১০ অগস্ট তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হয়, দাবিদাওয়া নিয়ে কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক হবে। যদিও কোনও অজ্ঞাত কারণে তা হয়নি।

আরও পড়ুন: Kolkata Acid Attack: দূরে প্রাক্তন স্বামীকে দেখেও এড়িয়ে গিয়েছিলেন, ছিটকে তরুণীর শরীরে এসে পড়ে তরল কিছু!