প্রণবের বই নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ মুখার্জি পরিবার, ঠোকাঠুকি লাগল অভিজিৎ-শর্মিষ্ঠার

কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) লেখা বই ‘দ্য প্রেসিডেনশিয়াল মেমোয়ার্স’ নিয়ে মতানৈক্য শুরু হয়েছে তাঁর ছেলে-মেয়ের মধ্যে। একজন চাইছেন, বই যেন তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রকাশিত না হয়। আরেকজন বলছেন, যে কোনও মূল্যে বিনা বাধায় বই প্রকাশ করতে হবে। বাবার বই প্রকাশ পাবে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো সম্মুখ সমরে অভিজিৎ ও শর্মিষ্ঠা। একদিকে […]

প্রণবের বই নিয়ে আড়াআড়ি ভাগ মুখার্জি পরিবার, ঠোকাঠুকি লাগল অভিজিৎ-শর্মিষ্ঠার
ঠোকাঠুকি লাগল অভিজিৎ-শর্মিষ্ঠার
Follow Us:
| Updated on: Dec 15, 2020 | 8:25 PM

কলকাতা: প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের (Pranab Mukherjee) লেখা বই ‘দ্য প্রেসিডেনশিয়াল মেমোয়ার্স’ নিয়ে মতানৈক্য শুরু হয়েছে তাঁর ছেলে-মেয়ের মধ্যে। একজন চাইছেন, বই যেন তাঁর অনুমতি ছাড়া প্রকাশিত না হয়। আরেকজন বলছেন, যে কোনও মূল্যে বিনা বাধায় বই প্রকাশ করতে হবে।

বাবার বই প্রকাশ পাবে কিনা তা নিয়ে রীতিমতো সম্মুখ সমরে অভিজিৎ ও শর্মিষ্ঠা। একদিকে পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় (Abhijit Mukherjee) সেই বই প্রকাশের ক্ষেত্রে নিজের আপত্তির কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায়ের (Sharmistha Mukherjee)আবেদন, যে কোনও মূল্যে বই প্রকাশ করা হোক। বিষয়টি নিয়ে কার্যত দু’ভাগে আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছেন ভাই-বোন।

স্বল্প রোগভোগের পর গত অগস্ট মাসে প্রয়াত হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্র নিজের অবসর সময়ে লেখালেখি করতে ভালোবাসতেন। আগেও একাধিক বই তিনি লিখেছেন। তাঁর লেখা শেষ বই ‘দ্য প্রেসিডেনশিয়াল মেমোয়ার্স’ জানুয়ারি মাসে প্রকাশ পাওয়ার কথা। কিন্তু পুত্র অভিজিৎ এদিন একটি টুইট করে সেই বইয়ের প্রকাশনা আটকে দেওয়ার আবেদন জানান। টুইটারে প্রকাশকে ট্যাগ করে বইটির বেশ কিছু অংশ নিয়ে নিজের দুশ্চিন্তার কথা লেখেন। অভিজিতের কথায়, যেহেতু আমার বাবা গত হয়েছেন, তাই ছেলে হিসেবে বইটি প্রকাশ পাওয়ার আগে একবার আমি সেটা দেখতে চাইব। বাবা বেঁচে থাকলে উনিও এটাই করতেন। অভিজিৎ আরও জানান, তাঁর লিখিত অনুমতি ছাড়া যেন এই বই প্রকাশ না করা হয়।

উল্টোদিকে প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা পুরোপুরি বিপরীত কথা বলেছেন। তিনি টুইট করে ভাইকে বলেছেন, বাবার বই প্রকাশের ক্ষেত্রে যেন অনাবশ্যক কোনও বাধা না দেওয়া হয়। শর্মিষ্ঠার দাবি, অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগেই নিজের পাণ্ডুলিপি লেখার কাজ সম্পূর্ণ করেছিলেন প্রণব। এমনকী বইটির ফাইনাল ড্রাফটে প্রণববাবুর নিজের হাতে লেখা বেশ কয়েকটি লাইনও ছিল। তাই শেষ মূহুর্তে এসে প্রকাশনা আটকে যাক এমনটা কিছুতেই চাইছেন না শর্মিষ্ঠা।

কিন্তু কী এমন লেখা রয়েছে সেই বইতে যে কারণে এত বির্তক? সেখানে প্রণব মুখোপাধ্যায়কে উদ্ধৃত করে লেখা হয়েছে, ২০০৪ সালে যদি তিনি প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসতেন তবে ২০১৪-র লোকসভা ভোটে কংগ্রেসের ভরাডুবি এড়ান যেত। তিনি রাষ্ট্রপতির আসনে বসে দল থেকে বিচ্যুত হয়ে যাওয়ার কারণে কংগ্রেসের ফোকাস অনেকটাই প্রধান ইস্যুগুলির থেকে নড়ে গিয়েছিল। সম্ভবত বইটির এই বিতর্কিত অংশ নিয়েই অভিজিতের আপত্তি থাকতে বলে মনে করা হচ্ছে।