Law College lock: নজিরবিহীন দৃশ্য! হাইকোর্টের নির্দেশের পরই ল কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে ঝুলল তালা
Law College lock: যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মানিক ভট্টাচার্য বেশ কয়েকজনকে ওই কলেজের অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
কলকাতা: অধ্যক্ষ হওয়া তো দূরের কথা, কলেজে পড়ানোরই যোগ্যতাই নেই! এমনই অভিযোগ উঠেছে কলকাতার যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষা সুনন্দা গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে অবিলম্বে অপসারণ করে অধ্যক্ষের ঘরে তালা দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশের পর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কলেজে গিয়ে তালা দেন আইনজীবীরা। তাঁদের সহযোগিতা করেন চারু মার্কেট থানার পুলিশ। পাশাপাশি অধ্যক্ষের নেমপ্লেটের পর আদালতের নোটিস সাঁটিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রিন্সিপালের ঘরে এভাবে তালা লাগিয়ে দেওয়ার দৃশ্য কার্যত নজিরবিহীন। মামলায় মূল অভিযোগ ছিল প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি তথা নিয়োগ দুর্নীতিতে অন্যতম অভিযুক্ত মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ ওঠে, ইউজিসি-র কোনও নিয়ম না মেনেই যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী ল কলেজের অধ্যক্ষ পদে বসেছিলেন বলে মানিক। শুধু তাই নয়, যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও মানিক ভট্টাচার্য বেশ কয়েকজনকে ওই কলেজের অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছিলেন বলেও অভিযোগ ওঠে। এরপরই বর্তমান অধ্যক্ষা সুনন্দা গোয়েঙ্কা ও আর এক অধ্যাপিকা অচিনা কুণ্ডুর নাম সামনে আসে। বৃহস্পতিবার তাঁদের দুজনকেই অপসারণের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সুনন্দা গোয়েঙ্কার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি নেট পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হননি, রাজ্য স্তরের কোনও পরীক্ষাতেও বসেননি। তিনি যাতে আর কলেজে প্রবেশ করতে না পারেন, সেই নির্দেশই দিয়েছে আদালত।
অন্যদিকে, নিয়ম না মেনে অধ্যক্ষ পদে থাকার অভিযোগে মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধেও কড়া নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ওই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে তিনি যে বেতন পেয়েছেন, রাজ্যকে তা ফিরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।