High Court on Aadhaar Card: তথ্য যাচাই না করে হঠাৎ আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা যায় না: হাইকোর্ট
High Court on Aadhaar Card: মামলাকারী মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদের পর খোরপোষের দাবি জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, খোরপোষ চাইতেই ওই মহিলাকে বাংলাদেশি বলে আখ্যা দেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা।
কলকাতা: যাবতীয় তথ্য যাচাই না করে হঠাৎ করে কারও আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া যায় না, সেটা বৈধ নয়। একটি মামলায় এমনই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের। এক মহিলার আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করার ক্ষেত্রে স্থগিতাদেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক মামলাকারী ওই মহিলার আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিল। ফলে তাঁর ভোটার আইডি কার্ড ও প্যান কার্ডও নিষ্ক্রিয় হয়ে গিয়েছিল। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। বিচারপতি ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষ, নাগরিকতিব আইন, ১৯৫৫ ও আধার সংক্রান্ত আইন না মেনেই আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।
মামলাকারী এই মহিলার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর খোরপোষের দাবি জানিয়েছিলেন। অভিযোগ, খোরপোষ চাইতেই ওই মহিলাকে বাংলাদেশি বলে আখ্যা দেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়রা। মামলা হাইকোর্টে গড়ালে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এরপরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে মহিলার আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। ফলে প্যান কার্ড এমনকী ভোটার আইডি কার্ডও নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়।
এরপর মহিলা ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চে মামলা হয়। দেখা যায় ওই মামলায় তদন্তকারী অফিসার আগেই রিপোর্ট দিয়ে জানিয়েছিলেন ওই মহিলা ও তাঁর পরিবার বাংলাদেশি কি না সে সম্পর্কে যথেষ্ট প্রমাণ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। এই রিপোর্ট দেখেই বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের পর্যবেক্ষণ, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কোনও নাগরিকের প্রাথমিক অধিকার এভাবে কেড়ে নেওয়া যায় না।
বিচারপতি আরও উল্লেখ করেন, তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায় যে ওই মহিলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্যি, তাহলেও অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে যথেষ্ট প্রমাণ ও তদন্ত হয়েছে কি না, তা দেখা জরুরি। অন্যদিকে, মহিলার আইনজীবী কল্লোল বসু আদালতে সওয়াল করেন, মহিলাকে তাঁর প্রাক্তন স্বামী খোরপোষ দিতে বাধ্য, এই ধরনের অজুহাত ধোপে টিকবে না।