Supreme Court-Sandeshkhali Case: এই এজলাস থেকে ওই এজলাস ছুটলেন মনু সিংভি, সন্দেশখালি মামলায় দিনভর অপেক্ষাই সার হল রাজ্যের
Supreme Court-Sandeshkhali Case: সকাল থেকে সংবিধান বেঞ্চের শুনানি চলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। রাজ্যের আশা ছিল, মধ্যহ্নভোজের বিরতির পরও যদি শুনানি হয়। কিন্তু সংবিধান বেঞ্চের মামলা চলল বিকেল পর্যন্ত। এক এজলাস থেকে আর এক এজলাসে গিয়েও ফিরতে হল রাজ্যকে।
কলকাতা: দ্রুত মামলা শোনার জন্য চেষ্টা চলল অনেক। ২৪ ঘণ্টায় এক এজলাস থেকে আর এক এজলাসে ছুটল রাজ্য। কিন্তু অপেক্ষাই সার হল। বুধবার বিকেল ৪টে বাজতেই নিয়ম মাফিক ছুটি হয়ে গেল সুপ্রিম কোর্ট। বন্ধ হল এজলাস। রাজ্যের আবেদন শুনলেন না কেউ। কার্যত সারাদিন অপেক্ষা করেছিলেন রাজ্যের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। মিলল না কোনও সুযোগ। কবে শুনানি হবে? তাও খুব একটা স্পষ্ট নয় রাজ্যের কাছে। বৃহস্পতিবার সকালে যদি মামলা শোনাও হয়, তাতে খুব একটা লাভ হবে কি?
ফিরতে হল খালি হাতে
মামলাটি সন্দেশখালি সংক্রান্ত। তাই এই মামলার দিকে সকাল থেকে নজর ছিল সব মহলের। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, সন্দেশখালি মামলার অন্যতম অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে হবে। আর তাতেই আপত্তি রাজ্যের। পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া শাহজাহানকে কোনও ভাবেই সিবিআই-এর হাতে তুলে দিতে রাজি নয় রাজ্য। সে কারণেই সুপ্রিম কোর্টের দুয়ারে পৌঁছেছে তারা। কিন্তু সেই দুয়ার থেকে ফিরতে হল খালি হাতে।
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয় মঙ্গলবার বিকেলে। আবেদন ছিল, জরুরি ভিত্তিতে শুনানি করতে হবে। মঙ্গলবার সেই আর্জি খারিজ হয়ে যায়।
ফিরিয়ে দেয় বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ
বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে মামলা মেনশন করা হলেও, জানিয়ে দেওয়া হয় প্রধান বিচারপতি শুনবেন ওই মামলা। বুধবার সকাল হতে আবার সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক মনু সিংভি। জানা যায়, প্রধান বিচারপতির এজলাসে চলছে সংবিধান বেঞ্চের শুনানি। তাই বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তর এজলাসে ওই মামলা মেনশন করা হয়। কিন্তু অবস্থান স্পষ্ট করে দেয় ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতির এজলাসেই বিষয়টি মেনশন করতে হবে বলে নির্দেশ দেয় বিচারপতি খান্নার বেঞ্চ।
কেন এত তাড়া?
অভিষেক মনু সিংভির বক্তব্য ছিল, রাতারাতি সিবিআই-এর হাতে যাবতীয় মামলা হস্তান্তর করার কথা বলা হয়েছে। সেই কারণেই জরুরি শুনানির প্রয়োজন বলে জানান মনু সিংভি।
কী হল শেষ পর্যন্ত?
সকাল থেকে সংবিধান বেঞ্চের শুনানি চলে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। রাজ্যের আশা ছিল, মধ্যহ্নভোজের বিরতির পরও যদি শুনানি হয়। কিন্তু সংবিধান বেঞ্চের মামলা চলল বিকেল পর্যন্ত।
তারপরই এদিনের মতো বন্ধ হয়ে গেল প্রধান বিচারপতির এজলাস। প্রধান বিচারপতির কোর্টরুমে ছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। কিন্তু এজলাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ফিরে যান তিনি। সন্দেশখালি সংক্রান্ত ইস্যু মেনশন করার সুযোগই এদিন পেলেন না সিংভি।