Vials missing: বারবার প্রাণদায়ী ইঞ্জেকশন খোয়া যাচ্ছে, হাসপাতালের বজ্র আঁটুনি কি ফস্কা গেরোয় পরিণত হচ্ছে?

Kolkata Medical College: বছর‌ই ঘুরেছে। কিন্তু প্রাণদায়ী ইঞ্জেকশন উধাও হয়ে যাওয়ার ছবি বদলায়নি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অন্তত এমনটই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

Vials missing: বারবার প্রাণদায়ী ইঞ্জেকশন খোয়া যাচ্ছে, হাসপাতালের বজ্র আঁটুনি কি ফস্কা গেরোয় পরিণত হচ্ছে?
কলকাতা মেডিকেল কলেজ (ফাইল চিত্র)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 01, 2022 | 3:34 PM

কলকাতা : বারবার প্রাণদায়ী ইঞ্জেকশন খোয়া যাওয়ার ঘটনা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে (Kolkata Medical College)। তবুও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে কেন দৃঢ় মনোভাব দেখাতে পারছে না কর্তৃপক্ষ? এমন প্রশ্ন ইতিমধ্য়েই উঠতে শুরু করে দিয়েছে। টসিলিজুমাব কাণ্ডের পরে ‘ফ্যাক্টর ৮’ ইঞ্জেকশন (Factor 8 vials) উধাও নিয়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অস্বস্তির চার্জশিট চিকিৎসক সংগঠনগুলির। বছর‌ই ঘুরেছে। কিন্তু প্রাণদায়ী ইঞ্জেকশন উধাও হয়ে যাওয়ার ছবি বদলায়নি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অন্তত এমনটই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

টসিলিজুমাব থেকে শুরু করে হিমোফিলিয়ার চিকিৎসায় ব্যবহৃত ‘ফ্যাক্টর ৮’ ইঞ্জেকশন… গ্রিন বিল্ডিংয়ের সিসিইউ থেকে সিবি টপের সার্জারি বিভাগ। এক বছরের মধ্যে কর্তৃপক্ষের বজ্র আঁটুনিকে ফস্কা গেরোয় পরিণত করে ফের সাধারণ মানুষের করের টাকায় কেনা ইঞ্জেকশন উধাও। চিকিৎসক সমাজ ভেবেছিলেন, টসিলিজুমাব কাণ্ডের পরে এ যাত্রায় কঠোর পদক্ষেপ করবেন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাস্তবে কী হল? ‘ফ্যাক্টর ৮’এর চারটি ভায়াল খোয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন এম‌এসভিপি সব্যসাচী দাস। রবিবার তিনি জানান, চারটি ভায়ালের মধ্যে দুটি ভায়াল পাওয়া গিয়েছে। কী ভাবে মিলল খোয়া যাওয়া ভায়াল? সদুত্তর নেই।

ফ্যাক্টর ৮-এর ভায়াল ২৫০ – ১০০০ ইউনিটের হয়। ২৫০ ইউনিট হলে ভায়াল পিছু বাজার মূল্য ৩০০০ টাকা। ১০০০ ইউনিট প্রতিটি ভায়ালের দাম ১১ হাজার টাকা। সিবি টপ থেকে খোয়া যাওয়া ভায়াল কত ইউনিটের? দু’টি ভায়াল কীভাবে পাওয়া গেল? বাকি দু’টি ভায়ালই বা কোথায়? ভায়াল নিখোঁজের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এক চুক্তিভিত্তিক কর্মীর। তাঁর বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? চিকিৎসক সংগঠনের সব প্রশ্নবাণেই নিরুত্তর কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।

ঠিক যেমন এক বছরেও উত্তর মেলেনি ২৬টি টসিলিজুমাব কোথায়? অভিযোগ প্রমাণে যে তদন্ত কমিটি স্বাস্থ্য দফতরের তত্ত্বাবধানে গঠন করা হয়েছিল, সেই সকল রিপোর্টের সারমর্ম কী? চিকিৎসক, সিস্টার ইন চার্জের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে? টসিলিজুমাব চুরির ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল তৃণমূল বিধায়ক তথা রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান নির্মল মাজির। তিনি কি ক্লিনচিট পেয়েছেন? এক বছর ধরে তদন্ত করে ব‌উবাজার থানার অনুসন্ধান কী? একজন‌ও কি গ্রেফতার হয়েছে? চিকিৎসক সংগঠনগুলি বলছে, যাঁরা এই সকল প্রশ্নের উত্তর সাধারণ মানুষকে দেওয়ার কথা, এ সব প্রশ্ন করলেই ‘জানি না’-র আশ্রয় নিচ্ছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন : Dilip Ghosh : ‘নিশ্চয় ইফতারের আমন্ত্রণ ছিল’, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজের আমন্ত্রণ এড়ানোয় মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের