Shantanu Sen: ‘কান দিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নিলে ভুল হতে বাধ্য’ R G Kar-এ সন্দীপ ঘোষ অধ্যক্ষ হতেই অভিমানী পোস্ট শান্তনুর
Shantanu Sen: তাঁর এই পোস্টের ছত্রে ছত্রে অভিমানের সুর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি লিখেছেন, "যিনি প্ররোচনা দিচ্ছেন, তার কোন ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য আছে কিনা সেটাও যেন ভেবে দেখার ক্ষমতা আমার থাকে।"
কলকাতা: “চোখ নয়,শুধু কান দিয়ে দেখে ,একতরফা শুনে সিদ্ধান্ত নিলে, ভুল সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য।” ফেসবুকে পোস্ট করলেন শান্তনু সেন। আরজি করের অধ্যক্ষ পদে আবারও সন্দীপ ঘোষকে আসীন করার পরই রোগী কল্যাণ সমিতি থেকে সরেন শান্তনু সেন। এই চরম আবহের মাঝেই ফেসবুকে পোস্ট করলেন শান্তনু। লিখলেন, “জীবনে যদি বারবার চোখ নয়,শুধু কান দিয়ে দেখে ,একতরফাভাবে শুধু একজনের কথা শুনে কেউ সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ভুল সিদ্ধান্ত হতে বাধ্য। ”
তাঁর এই পোস্টের ছত্রে ছত্রে অভিমানের সুর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। তিনি লিখেছেন, “যিনি প্ররোচনা দিচ্ছেন, তার কোন ব্যক্তিগত উদ্দেশ্য আছে কিনা সেটাও যেন ভেবে দেখার ক্ষমতা আমার থাকে।”
আরজি করের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সরানোর পক্ষপাতী ছিলেন শান্তুনু সেন। তিনিই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন। এক মাসের ব্যবধানে শুধু আরজি করের অধ্যক্ষ ফেরেননি। কার্যত সেই সময়েই আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান পদ খোওয়ান শান্তনু। পরিবর্তে তাঁর বিরোধী শিবিরের নেতা সুদীপ্ত রায় রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান হয়েছেন। এই শিবিরেরই প্রধান বেসরকারি স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের চিকিৎসক শ্যামাপদ দাসের নামে স্বাস্থ্যভবন চত্বর জুড়ে মঙ্গলবার রাত থেকে বেনামি পোস্টার পড়েছে। পোস্টারে মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ এই চিকিৎসকই বকলমে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। যদিও বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ চিকিৎসক শ্যামাপদ দাস।
শান্তনু সেনের এই পোস্ট নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাহলে কি তিনি অভিমান করেছেন? TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হয়েছিল শান্তনু সেনের সঙ্গে। তাঁর বক্তব্য, “কীসের অভিমান? আমি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ। মিশনের ছাত্র। আমি নিজের জীবনের উপলব্ধির কথা বলেছি। আমার সঙ্গে যাঁরা প্রতিনিয়ত থাকে নিঃস্বার্থভাবে, তাঁরা যদি কোনওভাবে আমার কারণে দুঃখ পায়, তাহলে সেটা আমার পক্ষেই ভালো নয়। আমি সুসময়ের পাখি নই, অসময়ের পাখি।”