Cancer Patient: সরকারি হাসপাতালে ঠাঁই হল না ক্যান্সার আক্রান্তের, সাংসদ বলছেন, ‘ছোটখাটো অসুবিধা হতে পারে
Cancer Patient: বারাসতের পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা আঙ্গুরা বেগমকে সারা রাত গাড়িতেই কাটাতে হয়। পরে তাঁকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে আসে তাঁর পরিবার।
কলকাতা: স্বাস্থ্য সাথী কার্ড নিয়েও হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরে হয়রান হতে হল এক রোগীকে। ক্যান্সার আক্রান্ত ওই রোগীকে কোথাও ভর্তি করা হয়নি বলেই অভিযোগ। শুক্রবার সারা রাত তাঁকে এনআরএস হাসপাতালের বাইরে গাড়িতে পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়েছে বলেই দাবি পরিবারের। বারাসতের পীরগাছা গ্রামের বাসিন্দা আঙ্গুরা বেগমের ঠাঁই হয়নি কোথাও। আর সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ তথা চিকিৎসক শান্তনু সেন দাবি করেন, হয়ত ভর্তির প্রয়োজন ছিল না। বিষয়টা জেনে তবেই বলতে হবে।
এ বিষয়ে TV9 বাংলার তরফে সাংসদকে প্রশ্ন করা হলে তিনি দাবি করেন, ক্যান্সার আক্রান্তের চিকিৎসার কতটা দ্রুত করা প্রয়োজন, তা নির্ভর করে রোগী কোন স্টেজে রয়েছেন তার ওপর। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এনেছেন। আগের থেকে অনেক ভাল হয়েছে চিকিৎসা পরিষেবা। মানুষের চাহিদাও বেড়েছে। সাংসদ বলেন, ‘হয়ত ভর্তির প্রয়োজন ছিল না। বিষয়টা জানতে হবে। নজরে এলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে দেখব।’ তাঁর আরও দাবি, সরকারি হাসপাতাল পারতপক্ষে রোগীকে ফেরায় না, তবে ছোটখাটো অসুবিধা হতেই পারে। বেড থাকলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না বলেই উল্লেখ করেছেন তিনি।
অন্যদিকে চিকিৎসক সংগঠনের নেতা মানস গুমটা রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর দাবি, রাজ্যে শুধু প্রচারের ফানুশ দেখা যাচ্ছে। শুধু বাড়ি ঘর করলেই চিকিৎসা দেওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। চিকিৎসকের কথায়, যে কোনও বিভাগে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা দেওয়া প্রয়োজন ওই রোগীর। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।
তৃণমূল সাংসদের মন্তব্য প্রসঙ্গে, বারাসতের বিজেপি সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, ‘শান্তনু সেন সবসময় কেন্দ্রের বিরোধিতা করেন। রাজ্য সরকারের ভুল-ত্রুটি দেখতে পান না। ওনার উচিত মহিলার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।’
উল্লেখ্য, ১৭ দিন আগে আঙ্গুরা বেগমের ক্যান্সার ধরা পড়ে। ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। প্রথমে বারাসাতের একটি বেসরকারি নার্সিং হোমে তাঁকে ভর্তি করা হয়। পরে রিপোর্ট নিয়ে যাওয়া হয় ঠাকুর পুকুর ক্যানসার হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে, চিকিৎসার খরচ শুনে ফিরে আসেন তাঁরা। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের আউটডোরে রোগীকে দেখার পর ইঞ্জেকশনও দেওয়া হয়। রোগীর ছেলে শেখ আমির আলি রহমান জানিয়েছেন, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রেসক্রিপশনে লিখে দেওয়া হয়, কোনও বেড নেই। এরপর এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয় তাঁদের। সেখানে নিয়ে গিয়ে দেখেন একই অবস্থা। কোনও বেড নেই। পরে ওই রোগীর ঠাঁই হয় হাসপাতালের বাইরে। আপাতত তাঁর দাঁতের গোড়া থেকে রক্ত পড়ছে, ক্রমশ অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলেই দাবি পরিবারের।