Shantipur By-Election Results 2021: মহুয়া মৈত্রকে সতর্ক করল কমিশন! বিজেপি সাংসদের বক্তব্য ‘অশিক্ষিত’, পাল্টা তোপ তৃণমূল সাংসদের
Ranaghat: রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, মহুয়ার বিরুদ্ধে গণনায় প্রভাব খাটানোর চেষ্টার অভিযোগ করেন। তিনি নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টি জানান।
অভিযোগ পেয়ে মহুয়া মৈত্রকে সতর্ক করে নির্বাচন কমিশন। বেআইনি ভাবে তিনি গণনাকেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। রিটার্নিং অফিসার (RO) তাঁকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনা যেন আর না ঘটে, সে কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।
যদিও এ নিয়ে মহুয়া মৈত্রের বক্তব্য, “নিয়ম অনুযায়ী যদি সাংসদ, বিধায়ক সরকারি নিরাপত্তা রক্ষী নেন তবে তিনি কাউন্টিং এজেন্ট হতে পারেন না। আমি বিধায়ক থাকাকালীনও সরকারি নিরাপত্তারক্ষী নিইনি, সাংসদ থাকাকালীনই নিই না। আমার ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও নিইনি। আরও হ্যান্ডবুকে পেজ নম্বর ১৯৬-এ স্পষ্ট করে যা বলা আছে, আমি তা মেনেই গিয়েছি। আমার আইডি কার্ডটা নির্বাচন কমিশনই দিয়েছে।”
একই সঙ্গে জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে মহুয়ার বক্তব্য, “উনি চারজন বন্দুধারী নিরাপত্তারক্ষী নিয়ে ঘোরেন। যেটা আমি করি না। তাই আইন তা ওনার জন্য প্রযোজন্য। এসব অশিক্ষিত বক্তব্যের জবাব দেওয়ার আমার কোনও দরকার নেই।”
রানাঘাট কলেজ শান্তিপুর উপনির্বাচনের গণনা কেন্দ্র। মঙ্গলবার সকাল সকাল এই কেন্দ্রের সামনে হাজির হয়ে যান এখানকার বিদায়ী বিধায়ক তথা সাংসদ জগন্নাথ সরকার। সেখানেই জগন্নাথ অভিযোগ তোলেন, “নির্বাচনী ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্ব হচ্ছে। এটা আমরা পরিষ্কার বলছি। কোনও ভিভিআইপির কিন্তু ভিতরে যাওয়ার এক্তিয়ার নেই। এদিকে আমরা শুনলাম কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। কী করে যান? দেখভালের দায়িত্বে যারা রয়েছে, অফিসার যাঁরা রয়েছেন তাদের পক্ষপাতিত্ব না থাকলে কী ভাবে গেলেন? তিনি কাউন্টিংকে প্রভাবিত করবেন। আমি কিন্তু ভিতরে ঢোকার চেষ্টাও করিনি। আমার এক্তিয়ার নেই বলেই চেষ্টা করিনি। আমাদের তীব্র আপত্তি সাংসদ মহুয়া মৈত্র ভিতরে গিয়েছেন। উনি যেতে পারেন না।”
বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিপুর বিধানসভা আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। প্রায় ৩০ হাজার বেশি ভোট পেয়ে জয়ী হন তিনি। কিন্তু ফল প্রকাশের পর তিনি পদত্যাগ করেন। সাংসদ পদ বেছে নিয়েই পদত্যাগ করেন তিনি। শান্তিপুরে তৃণমূলের প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী, বিজেপির প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস, সিপিএমের প্রার্থী সৌমেন মাহাতো। কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে। রাজু পাল এখানে কংগ্রেসের মুখ। অর্থাৎ শান্তিপুরের উপনির্বাচনে এবার চর্তুমুখী লড়াই।