Presidency University : ‘ইউনিয়ন ভোট চাই’, রাতেই অর্নির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু প্রেসিডেন্সিতে
‘ইউনিয়ন ভোট চাই’, রাতেই অর্নির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু প্রেসিডেন্সিতে
কলকাতা : ক্রমেই জোরালো হচ্ছে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের (Union Election) দাবি। সম্প্রতি জোরদার আন্দোলন চলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজে (Calcutta Medical College)। দফায় দফায় আন্দোলন চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েও। সরকারি অনুমতি না পেয়েও নিজেদের উদ্যোগে ভোট করে নতুন ছাত্র সংসদ তৈরি করে ফেলেছে কলকাতা মেডিকেল কলেজের পড়ুয়ারা। অন্যদিকে ছাত্র সংসদ ভোটের প্রয়োজনীয়তার কথা মনে করিয়ে সরকারকে চিঠিও দিয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে এবার ভোটের দাবিতে রাতভর অবস্থানে বসলে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। ভারতের ছাত্র ফেডারেশন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় (Presidency University) ইউনিট আজ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান শুরু করেছে। অবস্থান চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনেই।
মূলত চার দফা দাবিকে সামনে রেখে এদিনের অবস্থানে সামিল হয়েছেন প্রেসেডিন্সির এসএফআই ইউনিট। আন্দোলকারীদের স্পষ্ট দাবি, শেষ ছাত্র ভোটের পর কেটেছে লম্বা সময়। যার জেরে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদও শেষ হয়ে গিয়েছে। এসেছে নতুন ব্যাচ। সেগুলিতেও কোনও নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি নেই। যার জেরে ক্যাম্পাসের সামগ্রিক কার্যকলাপ সঠিকভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে। তাই অবিলম্বে চাই ছাত্র সংসদ নির্বাচন। এ ছাড়াও অবিলম্বে ল্যাব এবং প্রাক্টিকাল ক্লাসের জন্যে প্রয়োজনীয় সামগ্রী সহ, লাইব্রেরীতে নতুন বই, ফিল্ড ট্রিপ এবং এক্সকার্শনের জন্যে ফান্ড বরাদ্দ করতে হবে বলেও আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন। উঠেছে কনভোকেশনের দাবি। করোনার কারণে বিগত কয়েক বছর সমাবর্তন হয়নি ক্যাম্পাসে। সম্প্রতি যে ব্যাচগুলি সমাবর্তন পায়নি তাঁদের জন্য আলাদা করে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছে যাদবপুরে। তারপর থেকে কলকাতা থেকে প্রেসিডেন্সি একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাবর্তনের দাবি আরও জোরালো হয়েছে।
পাশাপাশি প্রেসিডেন্সির পড়ুয়াদের দাবি শুধুমাত্র এক ভাষার(ইংরেজি) পরিবর্তে মাতৃভাষায় শিক্ষা এবং পরীক্ষায় উত্তর লেখার অধিকারও ছাত্রছাত্রীদের দিতে হবে। এই ৪ দফা দাবি নিয়ে মঙ্গলবার গণজমায়েতের ডাক দেওয়া হয় প্রেসিডেন্সিতে। মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয় ডেপুটেশন। তবে আন্দোলনকারীরা জানাচ্ছেন এখনও পর্যন্ত এ সমস্ত বিষয়ে অথরিটির তরফে তাঁরা কোনও সদুত্তর পাননি। উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত চলবে এই অবস্থান কর্মসূচি। তবে এসএএফআই আন্দোলনের পথে হাঁটলেও ক্যাম্পাসের অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলি এখন কী করে সেটাই দেখার।