শীতলকুচিকাণ্ডে ফের তলব কোচবিহারের প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে

কলকাতা: শীতলকুচিকাণ্ডে (Sitalkuchi Case) কোচবিহারের (Cooch Behar) প্রাক্তন পুলিশ সুপার দেবাশিস ধরকে ফের তলব করল সিআইডি। আজই ভবানী ভবনে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীতলকুচিকাণ্ডে এর আগে দেবাশীষ ধরকে ২ বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

শীতলকুচিকাণ্ডে এর আগে জুন মাসে প্রাক্তন পুলিশ সুপারকে তলব করে সিআইডি। শীতলকুচিকাণ্ডে মাথাভাঙা থানার বেশ কয়েকজন আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি-র বিশেষ তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, প্রাক্তন পুলিশ সুপারের কাছে আবারও জানতে চাওয়া হবে, কার নির্দেশে গুলি চালানো হয়? গুলি চালানোর সময় তিনি কোথায় ছিলেন? গুলি চালানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানতেন কিনা?

ভোট চতুর্থীর সকাল থেকেই শিরোনামে ছিল শীতলকুচি। রাত থেকে কড়া প্রহরা ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী, পুলিশের। নজর ছিল কমিশনেরও। তবুও রোখা সম্ভব হয়নি হিংসা। সকালেই পাঠানটুলিতে আনন্দ বর্মন নামে তেইশ বছরের এক তরুণের মৃত্যু হয়। তার ঘণ্টা খানেকের খবর আসে মাথাভাঙা ও শীতলকুচির মধ্যবর্তী এলাকা জোরপাটকিতে গুলি চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। তাতে চার জনের মৃত্যু হয়। ঘটনার গোটা বাংলায় শোরগোল পড়ে যায়।

তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে যেদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শপথ গ্রহণ করেন, সেদিনই শীতলকুচিকাণ্ডের তদন্তে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের নির্দেশ দেন। সিট তদন্তের শুরুতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৬ জওয়ান ও দু’জন অফিসারকে তলব করেন। ডাকা হয় মাথাভাঙা থানার সাব ইন্সপেক্টরকেও। একইসঙ্গে কোচবিহারের প্রাক্তন এসপিকেও ডেকে পাঠানো হয়।

ইতিমধ্যেই ফরেন্সিকের ব্যালেস্টিক টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে। ঠিক কী ধরনের গুলি চলেছিল, তা পরীক্ষা করে দেখেন ফরেন্সিক ব্যালেস্টিক এক্সপার্টরা। উল্লেখ্য, ব্যালেস্টিক টিমের সদস্যরা আগ্নেয়াস্ত্রের উৎপাদন, বুলেটের আকার নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। শীতলকুচিকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিআইডি তদন্তে বেশ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। ভোটের দিন বুথের দিকে তাক করে গুলি চালানো হয়েছিল বলেই মনে করছিল তারা। এদিন ব্যালেস্টিক টিমও সেই তথ্যে মান্যতা দিয়েছে বলে সূত্রের খবর। দরজা ভেদ করে গুলি ভিতরে ঢুকে ব্ল্যাকবোর্ডের গায়ে লাগে। এরপরই তদন্তে গতি আনতে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। আরও পড়ুন: বড় খবর! বাঁকুড়া শিশু পাচারকাণ্ডের তদন্ত ভার নিল সিআইডি