শাটলে ছিনতাই, ত্রিপুরার বাসিন্দাকে চোখ মুখ বেঁধে রাস্তায় ফেলে পালাল দুষ্কৃতীরা
২৫ ডিসেম্বর রাত ২টো নাগাদ বাইপাস থেকে শাটল ধরেন ত্রিপুরার অঞ্জন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। গাড়িতে তখন চালক ছাড়াও তিনজন যাত্রী ছিল।
কলকাতা: বড়দিনের ঝলমলে শহর তখন আলোয় মোড়া। উৎসবের মেজাজে ভাসছে গভীর রাত। এরইমধ্যে বাইপাস সংলগ্ন লস্করহাটে একটি শাটলে ঘটে যায় দুঃসাহসিক ছিনতাই। এক ব্যক্তির চোখ, মুখ বেঁধে সর্বস্ব লুঠ করে তাঁকে রাস্তার ধারে ফেলে পালায় দুষ্কৃতীরা। অবশেষে সেই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করল তিলজলা থানার পুলিস। ধৃতদের রবিবারই আদালতে তোলা হবে।
পুলিস সূত্রে খবর, ২৫ ডিসেম্বর রাত ২টো নাগাদ বাইপাস থেকে শাটল ধরেন ত্রিপুরার অঞ্জন বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। গাড়িতে তখন চালক ছাড়াও তিনজন যাত্রী ছিল। গাড়িটি লস্করহাট পৌঁছনোর পর এক যাত্রী শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য গাড়ি থামায়।
আরও পড়ুন: কেউ যেন সৌরভকে মানসিক চাপ না দেন, অশোকের মন্তব্যে জল্পনা
অভিযোগ, ওই যাত্রী ফিরে এসে অঞ্জনকে সরে মাঝের সিটে বসতে বলে। তিনি সরেও বসেন। কিন্তু এরপরই গাড়ি চলতে শুরু করলে তাঁর চোখ, মুখ চেপে ধরে সহযাত্রীরা। তখনই অঞ্জন বুঝে গিয়েছিলেন বড় ফাঁদে পড়ে গিয়েছেন। সহযাত্রীরা মুহূর্তে হয়ে ওঠে দুষ্কৃতী। এরপর তাঁর চোখ-মুখ কাপড়ে বেঁধে সঙ্গে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা ও সোনার গয়না লুঠ করে নেয়।
এখানেই থামেনি ছিনতাইকারীরা। অঞ্জনকে একটি এটিএম কাউন্টারের সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে জোর করে সেখান থেকে নগদ ৪০ হাজার টাকা তোলানো হয়। তারপর স্থানীয় একটি ব্রিজের কাছে অঞ্জনকে চোখ বাঁধা অবস্থায় ফেলে দিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপরই তিলজলা থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন ত্রিপুরার ওই ব্যক্তি। শনিবার রাতে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।