Central Force: রাত থেকেই চলছিল পরিকল্পনা, সকাল থেকেই দিকে দিকে ভারী বুটের আওয়াজ
Central Force: শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, একই ছবি দক্ষিণবঙ্গেও। সকাল থেকে শুরু রুটমার্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক কোম্পানি সিআইএসএফ ঢোকে বর্ধমানে। শনিবার সকালে বাহিনী তিন ভাগে ভাগ হয়ে এক ভাগ শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় রুটমার্চ করে।
কলকাতা: এখনও ঘোষণা হয়নি ভোটের দিনক্ষণ। যদিও ইতিমধ্যেই বাংলায় পা পড়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা চলছেই। ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে কেন এল সেই প্রশ্ন একদিকে যেমন তুলছে তৃণমূল, তেমনই আবার বিজেপি বলছে এটাই দরতার ছিল। শনিবার সকাল থেকেই ভারী বুটের আওয়াজ শোনা গেল দিকে দিকে। পা মেলাল রাজ্য পুলিশের পদস্থ কর্তারাও। জলপাইগুড়িতেও শুরু হয়ে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর রুট মার্চ। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকাগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রুট মার্চ শুরু করলেন ডিএসপি,আই সি সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকেরা। স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রুট মার্চ করতে দেখে খুশি গ্রামের মানুষজন।
একইসঙ্গে এদিন শিলিগুড়ি এসে পৌঁছাল এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিএসএফের তরফে এক কোম্পানি বাহিনী এদিন সকালে এসে পৌঁছায়। আরও ৩ কোম্পানি বাহিনী জেলায় আসার কথা আছে। ধূপগুড়িতেও পৌঁছেছে এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন ধূপগুড়ির এসডিপিও গেনইলসন লেপচা ও পুলিশ আধিকারিক ঋষিকেশ লামা কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে রুট মার্চ করেন।
শুধু উত্তরবঙ্গ নয়, একই ছবি দক্ষিণবঙ্গেও। সকাল থেকে শুরু রুটমার্চ। শুক্রবার সন্ধ্যায় এক কোম্পানি সিআইএসএফ ঢোকে বর্ধমানে। শনিবার সকালে বাহিনী তিন ভাগে ভাগ হয়ে এক ভাগ শহরের লক্ষ্মীপুর এলাকায় রুটমার্চ করে। গত নির্বাচনে এই এলাকার বেশকিছু জায়গায় অশান্তি হয়েছিল, অভিযোগও জমা পড়েছিল। এলাকার মানুষদের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায় জওয়ানদের। এদিন বাহিনীর বাকি সদস্যদের একভাগ শক্তিগড় ও একভাগ দেওয়ানদিঘী এলাকায় রুটমার্চ করে।
একই ছবি বীরভূমেও। জেলায় এসে গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এসেছে তিন কোম্পানি বাহিনী। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মোট চার কোম্পানির কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা রয়েছে। এদিন সকাল থেকে সদাইপুর থানা এলাকার দুর্লভপুর, রাজগঞ্জ, করমকাল, হাজরাপুর, পারুলিয়া গ্রামে রুটমার্চ করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা। একই ছবি ব্যারাকপুরেও। ব্যারাকপুরে এসে পৌঁছাল ৪ কোম্পানি আধা সেনা। জগদ্দল, ভাটপাড়া, টিটাগড়-সহ বিভিন্ন স্পর্শকাতর এলাকায় তাঁদের টহল দেওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে নৈহাটি RBC কলেজ থেকে তাঁদের ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে বলে খবর।