DA-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ‘পেনশন হোল্ডার’ শোভনদেব

Dearness Allowance: শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বললেন, 'কেন্দ্র অনেক টাকা আটকে রেখেছে। সেই টাকা পেলে এনাদের সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারতেন মুখ্যমন্ত্রী।'

DA-র দাবিতে আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতিশীল 'পেনশন হোল্ডার' শোভনদেব
শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 30, 2023 | 6:58 PM

কলকাতা: বকেয়া ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবি পথে নেমেছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলি। সরকারি কর্মীদের ধর্না আজ চতুর্থ দিনে পড়ল। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ২ ঘণ্টার জন্য প্রতিটি সরকারি দফতরে কর্মবিরতির ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বিষয়ে রাজ্যের মন্ত্রীর শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, আন্দোলনকারীদের প্রতি তাঁর সহানুভূতি রয়েছে। কারণ তিনিও পেনশন হোল্ডার। তবে একইসঙ্গে কর্ম বিরতির পথে যাওয়াটাও ঠিক নয় বলেই মনে করছেন তিনি। মন্ত্রী বললেন, ‘কেন্দ্র অনেক টাকা আটকে রেখেছে। সেই টাকা পেলে এনাদের সমস্যা মিটিয়ে দিতে পারতেন মুখ্যমন্ত্রী।’

সম্প্রতি রাজ্যের অপর মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম মহার্ঘভাতার দাবিতে আন্দোলনে সামিল ব্যক্তিদের সিপিএমের লোক বলে দাবি করেছিলেন। সেই নিয়ে শোভনদেবকে প্রশ্ন করা হলে তিনি সরাসরি সিপিএম-এর লোক না বললেও, সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনে বিরোধীদের যে উস্কানি রয়েছে, সে কথা মেনে নিয়েছেন তিনি।

আন্দোলনরত সরকারি কর্মচারীরা বলছেন, তাঁরা বাধ্য হয়েই এই কর্মবিরতির পথ বেছে নিয়েছেন। ধর্নামঞ্চে থাকা এক আন্দোলনকারী বললেন, ‘ট্রাইবুনালে, হাইকোর্টে রাজ্য হেরে গিয়েছে। তখন সকলে আশা করেছিল, প্রাপ্য বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু তা না করে, ডিএ আটকানোর জন্য টাকা নষ্ট করে সুপ্রিম কোর্টে ছুটে গেল রাজ্য। মহার্ঘভাতা দেওয়ার সদিচ্ছা রাজ্য সরকারের নেই। সেই কারণে, আমরা এই ডিএ ছিনিয়ে নেব।’

তাঁদের প্রশ্ন, দেশের অন্যান্য রাজ্যগুলি যদি মহার্ঘভাতা দিতে পারে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গ কেন পারছে না? কর্মবিরতির কথা ঘোষণা করার পরেও রাজ্য সরকারের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের। উল্টে তাঁদের আন্দোলনকে একটি দলের আন্দোলন বলে খোঁচা দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের সাফ বক্তব্য, তাঁদের কাছে কোনও ভেদাভেদ নেই। সরকার পক্ষ বা বিরোধী পক্ষ, যে খুশি তাঁদের কাছে আসতে পারেন।