Calcutta High Court: আদালতে ক্ষমা চাইলেন SSC-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার
SSC Chairman in High Court: এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট।
কলকাতা: আদালত অবমাননার মামলায় শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান (SSC Chairman) সিদ্ধার্থ মজুমদার। আদালতের কাছে ক্ষমা চান সিদ্ধার্থবাবু। বললেন, ‘আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যা করতে আমাদের ভুল হয়েছে।’ সিদ্ধার্থ মজুমদারের বক্তব্য, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সপার্টদের দিয়ে খতিয়ে দেখা হয়েছে ওইসব খাতা। ইংরেজি ও চাইল্ড ডেভলপমেন্ট ও পেডাগগি বিভাগের খাতা খতিয়ে দেখে তাঁরা রিপোর্ট দিয়েছেন। যাদবপুরের রিপোর্ট কাল রাতে পাওয়া গিয়েছে। তার সবটা খতিয়ে দেখা হয়নি। এসএসসি চেয়ারম্যানের বক্তব্যের ভিত্তিতে, সবটা খতিয়ে দেখার জন্য শুক্রবার পর্যন্ত মামলা স্থগিত করা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে এসএসসি খতিয়ে দেখবে এক্সপার্টদের রিপোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে উচ্চ প্রাথমিক টেটের পরীক্ষাকে কেন্দ্রে করে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই পরীক্ষায় সিলেবাসের বাইরের প্রশ্নের জন্য পরীক্ষার্থীদের নম্বর না দেওয়া সংক্রান্ত একটি মামলা চলছিল হাইকোর্টে। মামলাটি ছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে। বিচারপতি মান্থার নির্দেশের পরেও কেন নম্বর দেওয়া হয়নি, সেই নিয়ে এদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল হাইকোর্টে। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেও তাকে পাস কাটানোর মনোভাব দেখে এসএসসি চেয়ারম্যানকে ব্যাক্তিগতভাবে আজ হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেই মতো এদিন হাইকোর্টে হাজিরা দিয়েই ক্ষমা চেয়ে নেন সিদ্ধান্ত মজুমদার। স্বীকার করে নিলেন, আদালতের নির্দেশের ব্যাখ্যায় ভুল হয়েছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে আদালতে জানানো হয়, ৮৩ জনের মধ্যে ৬৩ জনের পার্সোনালিটি টেস্ট বা ইন্টারভিউ হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে ৪৩ জনের ক্ষেত্রে সুপারিশপত্র দেওয়ার প্রস্তুতিও হয়ে গিয়েছে। বোর্ডের কাছে শূন্য পদের তালিকা চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, মামলাকারীদের মধ্যে তিনজনের আবেদন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে বলে জানানো হয় আদালতে। তাঁদের জমা দেওয়া বুকলেট সিরিজ ও ওএমআর শিট নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আদালতের নির্দেশ, তাঁদের এসএসসি-র আইনজীবীর অফিসে আগামী সপ্তাহে গিয়ে বিতর্ক দূর করার চেষ্টা করতে হবে।