Online Admission: শুরু হচ্ছে কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইনে ভর্তি, রূপরেখা চূড়ান্ত করতে ২ জুন উপাচার্যদের ডাক ব্রাত্যর
Online Admission: এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজ তাদের নিজেদের মেধাতালিকা প্রকাশ করত। সেই অনুযায়ী চলত ভর্তি প্রক্রিয়া। এবার রাজ্য সরকার চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক মেরিট লিস্ট হবে।
কলকাতা: নয়া শিক্ষাবর্ষ থেকেই কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইনে চলবে কলেজে ভর্তি (College Admission) প্রক্রিয়া। এ কথা আগেই শোনা গিয়েছিল। সবুজ সংকেতও মিলেছে নবান্নের (Nabbana) তরফে। এমতাবস্থায় এবার, আগামী ২ জুন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের (University) উপচার্যদের (Vice-Chancellors) নিয়ে বৈঠক বসতে চলেছেন।কীভাবে সমস্ত প্রক্রিয়া চলবে তা নিয়ে আলোচনা করতেই এ বৈঠক বলে খবর। কীভাবে গোটা প্রক্রিয়ার বাস্তবায়ন হবে তা নিয়েও বিশদে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। ২ জুন বিকাশ ভবনে এই বৈঠক হবে বলে খবর।
এদিকে এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন কলেজ তাদের নিজেদের মেধাতালিকা প্রকাশ করত। সেই অনুযায়ী চলত ভর্তি প্রক্রিয়া। এবার রাজ্য সরকার চাইছে বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক মেরিট লিস্ট হবে। সেখান থেকে নিজেদের মেধার ভিত্তিতে বিভিন্ন কলেজ বেছে নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৩ সালে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ বছরের জন্য এই প্রক্রিয়ায় ভর্তি প্রক্রিয়া চলেছিল। তবে নানা জটিলতায় তা থমকে যায়। এবারে ফের এ প্রক্রিয়া শুরু হলে সেই জটিলতা এড়ানো যায় কিনা এখন তা নিয়েই শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। এদিকে প্রতিবার ভর্তির সময় একাধিক কলেজে যে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে তা কেন্দ্রীয় ভাবে অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়ায় অনেকটাই এড়ানো যাবে বলে মত রাজ্য সরকারের।
রাজ্যের এই উদ্যোগকে আপাতত ‘সাধুবাদ’ জানিয়েছেন অধ্যাপকদের সিংহভাগই। তবে, আশঙ্কার কথাও থাকছে। অধ্যাপক দেবাশিস সরকারের কথায়, “এই পদ্ধতিতে যদি ভর্তি প্রক্রিয়া সুনিশ্চিত করা যায়, তাহলে ভর্তির পরও যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে শূন্যপদ থাকে, তা কমানো সম্ভব। আর ভর্তির জন্য যে বিপুল সময় নষ্ট হয়, কেন্দ্রীয় অনলাইন পদ্ধতিতে ভর্তি হলে সেই সময় বাঁচবে।” তবে তাঁর মতে, এই কেন্দ্রীয় ভর্তির পদ্ধতিতে কিছু বিষয় থাকলে আরও ভাল হবে। তিনি মনে করছেন যাদবপুর,প্রেসিডেন্সি ও সেন্ট জেভিয়ার্সের মতো নামজাদা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির প্রক্রিয়া শেষ হলে তবেই এই প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত। তাহলে পড়ুয়াদের এক কলেজ থেকে অন্য কলেজে যাওয়ার প্রবণতা কমবে। পাশাপাশি এমন ব্যবস্থা করতে হবে যাতে কোনও কলেজে ভর্তি হওয়া এক পড়ুয়া অন্য কোনও কলেজের জন্য আবেদন না করতে পারেন। শিক্ষাবিদ নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়়ি বলেন, “কলেজে সাহায্য করার জন্য ইউনিয়ন থাকে। কখনও তারা গরিব পড়ুয়াদের ভর্তির জন্য নিয়ে আসে। তবে সরকারের এই নিয়ম অত্যন্ত সাধু উদ্যোগ। সামনের দিনে সামান্যতম কোনও দুর্নীতি থাকা গণতন্ত্রের পক্ষে মঙ্গলজনক নয়।”
তবে অন্য আশঙ্কার কথা শোনাচ্ছেন এসএফআই রাজ্য সম্পাদক সৃজন ভট্টাচার্য। তাঁর মতে এবার ‘কেন্দ্রীয় দুর্নীতির’ রাস্তা নতুন করে প্রশস্ত হবে। তিনি বলেন, “সরকার বারবার করেই অনলাইনে কেন্দ্রীয়ভাবে ভর্তির কথা বলে এসেছে। কিন্তু অনলাইনে ভর্তির পরেও কীভাবে চুরি করতে হয় তা তৃণমূল শিখিয়েছে।” পাল্টা দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদ সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, কোনও কালেই তৃণমূল জমানায় দুর্নীতি হয়নি। তৃণাঙ্কুর বলেন, “বিরোধীরা বড় বড় কথা বলছেন। তবে ৩৪ বছর ক্ষমতায় থেকেও অনলাইন পদ্ধতি আনার কথা বলেননি। কথায় কথায় বিরোধীরা ছাত্র সংসদকে দোষ দেয়, কারণ কলেজের পড়ুয়াদের সঙ্গে তাঁদের কোনও সংযোগই নেই।”