West Bengal Assembly : রাজ্যপালকে আরও একটি পদ থেকে সরাতে আজ বিল আনছে রাজ্য সরকার

West Bengal Assembly : এতদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং বিচারবিভাগীয় সদস্যদের নিয়োগ করতেন রাজ্যপাল। সেই 'অধিকার' রাজ্য সরকারের কাছে আনতেই বিলে সংশোধনী আনছে রাজ্য সরকার।

West Bengal Assembly : রাজ্যপালকে আরও একটি পদ থেকে সরাতে আজ বিল আনছে রাজ্য সরকার
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 24, 2022 | 12:39 PM

কলকাতা : রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে বিল পাশ হয়েছে। এবার আরও একটি ট্রাইব্যুনাল থেকে রাজ্যপালকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল ২০২২ আজ বিধানসভায় পেশ করবেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। আজই বিলটি পাশ করাতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল। আর তা হলে এর পর থেকে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও বিচারবিভাগীয় সদস্যদের নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।

বিভিন্ন ইস্যুতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের (Governor Jagdeep Dhankhar) সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত জারি। কখনও রাজ্যের ‘আইনশৃঙ্খলার অবনতি’ নিয়ে মুখ্যসচিবকে তলব করেছেন। কখনও রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে ডেকে পাঠিয়েছেন। উল্টোদিকে, রাজ্যপালকে পদ্মপাল বলে আক্রমণ শানিয়েছে শাসকদল। তবে জগদীপ ধনখড় জানিয়ে দিয়েছেন, রাজ্যপাল হিসেবে নিজের দায়িত্ব তিনি পালন করে যাবেন।  তাঁর বক্তব্য, সংবিধান মেনে যে শপথ তিনি নিয়েছেন, তাঁর দায়িত্ব তা পালন করা। এবং তিনি তা করে যাবেন।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের একাধিক পদ থেকে রাজ্যপালকে সরাতে উদ্যোগী হয়েছে শাসক দল তৃণমূল। আচার্য পদ থেকে সরাতে বিল পাশের পর এবার দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেন্যান্সি ট্রাইব্যুনাল (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল। এতদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনার সাপেক্ষে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এবং বিচারবিভাগীয় সদস্যদের নিয়োগ করতেন রাজ্যপাল। সেই ‘অধিকার’ রাজ্য সরকারের কাছে আনতেই বিলে সংশোধনী আনছে রাজ্য সরকার। এই সংশোধনী বিল অনুসারে, হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গে আলোচনা করে ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার।

ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্যের একের পর এক বিলে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়বে। রাজ্য বিলগুলি বিধানসভায় পাশ করলেও তা আইনে পরিণত করতে রাজ্যপালের স্বাক্ষর দরকার। রাজ্যপাল বিলগুলি নিয়ে কী করেন, সেটাই দেখার।