Suvendu Adhikari: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জোগাড়ে কেন্দ্রের অর্থ ব্যবহার করছে রাজ্য, বিস্ফোরক শুভেন্দু

Suvendu Adhikari: “১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা বাংলার পাওনা রয়েছে। তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বাংলার সমস্ত প্রকল্প চালু থাকছে। বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার হচ্ছে। এতেই বিজেপির গা জ্বলে যাচ্ছে। তাঁরা মেনে নিতে পারছে না।” পাল্টা তোপ তৃণমূল নেতা শান্তনু সেনের।

Suvendu Adhikari: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জোগাড়ে কেন্দ্রের অর্থ ব্যবহার করছে রাজ্য, বিস্ফোরক শুভেন্দু
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 24, 2022 | 11:08 PM

কলকাতা: তৃতীয়বার বাংলার মসনদে বসার পর একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূল সরকারকে। এর মধ্যে সবথেকে বেশি নজর কাড়ে মহিলাদের স্বনির্ভর করতে লক্ষ্মী ভাণ্ডার প্রকল্প (Lakshmi Bhandar Scheme)। অভিযোগ, এই লক্ষ্মী ভাণ্ডারের টাকা জোগাড় করতে রাজ্য সরকার নানা কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ ব্যবহার করছে। সম্প্রতি এই বিস্ফোরক অভিযোগ করতে দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। যা নিয়ে ফের নতুন করে শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী এ বিষয়ে এদিন একাধিক টুইটও করেছেন শুভেন্দু। তাতেই তিনি স্পষ্ট বলেছেন তাঁর দাবির সপক্ষে তাঁর কাছে একাধিক তথ্য-প্রমাণও রয়েছে। 

টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন এবং সমাজকল্যাণ বিভাগ, বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিলের ব্যবহার অন্যত্র করছেন। মজুরি এবং অর্থের অধীনে প্রাপ্ত তহবিল লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের বিলের জন্য বরাদ্দ করছে৷’ তাঁর এই টুইট নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোরদার চর্চা। আর একটি টুইটে শুভেন্দু লেখেন, ‘এটা আমি প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করেছি। পশ্চিমবঙ্গ সরকার ICDS-এর মতো কেন্দ্রীয় তহবিলগুলিকে অস্থায়ীভাবে লক্ষ্মীর ভান্ডারকে তহবিল দেওয়ার জন্য ব্যবহার করছে। কেন্দ্রীয় তহবিল যেমন মিড ডে মিলের অর্থেরও ব্যবহার হচ্ছে। এটা একটার কাছ থেকে আরেকটা দিতে ধার নেওয়ার মতো। এই বন্ধ করতে হবে।’

এ প্রসঙ্গে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা বাঙালিদের ভোটে জিতেও কতটা বাংলা বিদ্বেষী তার প্রমাণ বারবার দিয়েছে। তাঁদের নেতারা প্রকাশ্যে বলে আমরা দিল্লি গিয়ে বলে আসি বাংলাকে টাকা দিও না। ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা বাংলার পাওনা রয়েছে। তার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তে আটকে রাখা যাচ্ছে না। বাংলার সমস্ত প্রকল্প চালু থাকছে। বাংলায় উন্নয়নের জোয়ার হচ্ছে। এতেই বিজেপির গা জ্বলে যাচ্ছে। তাঁরা মেনে নিতে পারছে না।”