AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

জমা জলের বিরুদ্ধে রংতুলি দাগল খুদে পড়ুয়ারা, মুগ্ধ স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা

প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা প্রচারকে জেতাল রংতুলি।

জমা জলের বিরুদ্ধে রংতুলি দাগল খুদে পড়ুয়ারা, মুগ্ধ স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা
জমা জলের বিরুদ্ধে রংতুলি দাগল খুদে পড়ুয়ারা, মুগ্ধ স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা
| Updated on: Dec 29, 2020 | 5:58 PM
Share

কলকাতা: সচেতন মনের ক্যানভাসের কাছে হার মানল অতি-মহামারী। পতঙ্গবাহিত রোগ (Insect-borne Diseases) নিয়ন্ত্রণে কর্মসূচির পায়ে বেড়ি পরিয়েছিল করোনা সংক্রমণ। সেই প্রতিকূলতাকে হার মানিয়ে মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা প্রচারকে জেতাল রংতুলি।

ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়া, জাপানিজ এনকেফালাইটিস রোধে প্রতি বছরই স্কুল স্তরে সচেতনতা অভিযান করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। কখনও স্কুলের ক্লাসে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠত ডেঙ্গি বা কালাজ্বর। কখনও আবার জমা জল কীভাবে মশাবাহিত রোগের বংশবৃদ্ধি ঘটতে সাহায্য করে সেই পাঠ দেওয়া হতো হাতেকলমে। এ বছর তাতে বাধ সাধে কোভিড। শেষ পর্যন্ত স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে পৌঁছতে জুলাইয়ে অনলাইনে পতঙ্গবাহিত রোগ সংক্রান্ত ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা আয়োজন করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। রাষ্ট্রীয় পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় ছবি এঁকে তা অনলাইনে পাঠায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসকারী স্কুল পড়ুয়ারা। কারও বিষয় ছিল ডেঙ্গি, তো কারও জাপানিজ় এনকেফালাইটিস। কেউ আবার ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর নিয়ে নিজেদের ভাবনা রং-তুলিতে এঁকে স্বাস্থ্য ভবনের লিঙ্কে পোস্ট করেন।

স্বাস্থ্য ভবন সূত্রের খবর, প্রায় তিন হাজার ছবি জমা পড়েছিল। তার মধ্যে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এবং পাহাড়ের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তিন হাজার ছবির মধ্যে ১০০ ছবিকে বেছে নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে মঙ্গলবার একটি চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। সেই সকল ছবিতে ভাবনার বিকাশ দেশে কার্যত মুগ্ধ স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাব্যক্তিরা। কালাজ্বর সংক্রান্ত ছবি দেখে স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “কালাজ্বর নিয়ে কেন সচেতনতা প্রয়োজন কী সুন্দর ফুটিয়ে তুলেছে।” মশারি টাঙানোর ফায়দা বোঝাতে একটি ছবির ক্যাপশনই দেওয়া হয়েছে, ‘নেট প্রফিট’! স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম বলেন, ‘যেমন ছবি তেমন ক্যাপশন’। খড়বনার এক ছাত্র আবার ডেঙ্গিকে থিম করে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এঁকেছেন। তা দেখে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের মন্তব্য, “এ তো পুজোর থিমের ছড়াছড়ি দেখছি।”

স্বাস্থ্য দফতরের জনস্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকদের একাংশ জানান, জুলাইয়ে প্রতিযোগিতা ঘোষণার পরে পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া, জাপানিজ় এনকেফালাইটিস, কালাজ্বর, ফাইলেরিয়া সংক্রান্ত কি-ওয়ার্ডের সংখ্যা গুগলে অনেক বেড়ে গিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।

স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম বলেন, “গোষ্ঠী স্তরে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ে সচেতনতা কী পর্যায়ে রয়েছে তা বোঝার জন্য এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিটি ছবিতে খুব সুন্দর ভাবে পতঙ্গবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।”

আরও পড়ুন: বছর শেষ বা বর্ষবরণের ভিড়ে রাশ টানতে নির্দেশ হাইকোর্টের