Suvendu Vs Mamata: ভাবানীপুর নিয়ে অবস্থান বদল? মমতার বিরুদ্ধে সম্মুখসমরে দেখা যাবে না শুভেন্দুকে?
Suvendu Vs Mamata: এদিকে শুভেন্দুর ভবানীপুরে দাঁড়ানো নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই ১২ মার্চ সুকান্ত বলেছিলেন, “শুভেন্দুবাবু যদি ভবানীপুরে দাঁড়ানোর জন্য দলের কাছে প্রস্তাব দেন আমরা সেই প্রস্তাবকে সাদরে গ্রহণ করব।” যা নিয়েও জল্পনা ক্রমেই তীব্র হয়েছিল।

কলকাতা: বিজেপি প্রার্থী দাঁড় করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হারাবেন, এদিন এ কথা বলে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাহলে কী ভবানীপুরে মমতা বনাম শুভেন্দু লড়াই হচ্ছে না? এখন লাখ টাকার এই প্রশ্নই ঘুরছে বঙ্গ রাজনীতির অলিতেগলিতে। যদিও মমতাকে ভবানীপুরে হারাবেন। নন্দীগ্রামের থেকেও ভবানীপুর তাঁর কাছে জেতা সহজ। আগেই আবার এই দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। তারপর থেকেই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভাবনীপুরে দুই হেভিওয়েটের টক্কর ঘিরে চাপানউতোর ক্রমেই তীব্র হচ্ছিল।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে হেরেছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে। আবার ভাবনীপুরেও ছাব্বিশ সালে বিজেপির প্রার্থীকে দিয়ে ওনাকে হারাব। উনি কম্পার্টমেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসাবে রয়েছেন। এরপরে ডাবল কমার্টমেন্টাল নেত্রী হিসাবে পরিচিত পাবে বাংলায় এক্স চিফ মিনিস্টার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”
কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না তৃণমূলও। তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন কুণাল ঘোষ। উল্টে মমতার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে বলেন, “আমরা জানি ভাবনীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চতুর্থবারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত বিধায়ক হিসাবে বিধায়ক হিসাবে বিধানসভায় পাঠাতে চলেছে ২০২৬ সালে। এবার কেউ ভবানীপুর নামটা দেখে যদি প্রচার পাওয়ার জন্য বলে ওখানে দাঁড়াব, হ্যান কারাঙ্গে, ত্যান কারঙ্গে, দিনের শেষ কুছ নাহি কারেঙ্গা! শেষে ওই হাল হয়েছে।” এখানেই না থেমে কটাক্ষের ধার আরও বাড়িয়ে বলেন, “আমরা প্রথম থেকে বলেছি ভবানীপুর নিয়ে কথা বলবেন না। ওখানে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে, চোখ ঝলসে যাবে। করবেন না এসব। শোনননি। এখন তো শোনা যাচ্ছে ব্যাকআউট!”
এদিকে শুভেন্দুর ভবানীপুরে দাঁড়ানো নিয়ে চাপানউতোর শুরু হতেই ১২ মার্চ সুকান্ত বলেছিলেন, “শুভেন্দুবাবু যদি ভবানীপুরে দাঁড়ানোর জন্য দলের কাছে প্রস্তাব দেন আমরা সেই প্রস্তাবকে সাদরে গ্রহণ করব।” শুভেন্দুর সিদ্ধান্তকে একপ্রকার স্বাগত জানিয়ে বলেছিলেন, “এটা আমারও বিশ্বাস যে শুভেন্দুবাবু যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ওখানে দাঁড়ান তাহলে মমতা হেরে যাবেন।”





