BBC documentary: BBC-র তথ্যচিত্র চলার সময় আচমকা অন্ধকার প্রেসিডেন্সিতে, তুমুল বিক্ষোভ ক্যাম্পাসে

BBC documentary: কয়েকদিন আগেই কার্যত একই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছিল জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU)। বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন পড়ুয়ারা।

BBC documentary: BBC-র তথ্যচিত্র চলার সময় আচমকা অন্ধকার প্রেসিডেন্সিতে, তুমুল বিক্ষোভ ক্যাম্পাসে
এখানেই দেখানো হচ্ছিল তথ্যচিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 27, 2023 | 9:51 PM

কলকাতা : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) উপরে বিবিসি (BBC)-র তৈরি তথ্যচিত্র প্রদর্শনকে কেন্দ্র করে দু’দিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল জওহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি (JNU)। মঙ্গলবার রাতে যে সময় ওই তথ্যচিত্র (BBC documentary) দেখানোর কথা ছিল, তার ঠিক আগেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এবার যেন একই ছবি দেখতে পাওয়া গেল কলকাতায় (Kolkata)। একই তথ্যচিত্রের প্রদর্শনীর সময় অন্ধকারে ডুবে গেল রাজ্যের এই স্বনামধন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একাংশ। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর তৈরি এই তথ্যচিত্র নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রবল বিতর্ক চলছে। বিতর্কের আবহেই এই তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রেসিডেন্সিতে। কিন্তু, আচমকা সেখানে হয়ে গেল পাওয়ার কাট। অন্ধকারের চাদরে ঢাকা পড়ল ক্যাম্পাসের একাংশ। ‘কর্তৃপক্ষ চায় না ক্যাম্পাসে এই তথ্যচিত্র দেখানো হোক’, প্রথম থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা এই দাবি করে আসছিলেন। এমনকী কর্তৃপক্ষের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, প্রদর্শনীর জেরে কোনও ঘটনা ঘটলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় নেবে না। তারমধ্যেই এ ঘটনা ঘটায় তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

দেখা যায় গোটা ক্যাম্পাসে ইলেকট্রিক থাকলেও যে হলে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শনী চলছিল সেই হলটি এদিন আচমকা অন্ধকার হয়ে যায়। দীর্ঘ সময় কেটে গেলেও কমন রুমের সেই হলে দেখা মেলেনি বিদ্যুতের। এ ঘটনার পিছনে অন্য ‘গন্ধ’ পাচ্ছেন পড়ুয়ারা। ক্ষোভে ফেটে পড়েন অনেকেই। ডিনের অফিসের সামনে শুরু হয় বিক্ষোভ। নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা ক্যাম্পাসে। পড়ুয়াদের স্পষ্ট অভিযোগ, পাওয়ার কাটের পিছনে রয়েছে কর্তৃপক্ষেরই হাত।

 সূত্রের খবর, এই তথ্যচিত্রের প্রথমে প্রদর্শন হওয়ার কথা ছিল ক্যাম্পাসের ব্যাডমিন্টন কোর্টে। কিন্তু সেখানে বিদ্যুতের সমস্যা থাকায় শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয় কমন রুমে দেখানো হবে এই তথ্যচিত্র। ঘটনায় কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলে এক আন্দোলনকারী ছাত্রী বলেন, “কর্তৃপক্ষ যখনই বুঝতে পেরেছে সাধারণ পড়ুয়ারাও এই তথ্যচিত্র দেখতে এসেছে তখনই পাওয়ার কাট করে দিয়েছে। বাইরে সব জায়গায় আলো থাকলেও শুধুমাত্র জেনারেল কমন রুমেই পাওয়ার নেই।” যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, স্ক্রিনিংয়ের বিষয়ে তাঁদের কাছে সুস্পষ্ট কোনও তথ্য ছিল না। পাওয়ার  কাটের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ২০০২ সালে গুজরাট হিংসার সময় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদী। এই তথ্যচিত্রে ওই সময়ের কিছু ঘটনা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। খোদ মোদীর বিষয়েও কিছু তথ্য রয়েছে সেখানে। যা নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে গোটা দেশে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, এই তথ্যচিত্র ‘পক্ষপাতদুষ্ট’। ইউটিউব ও টুইটারে বিবিসি-র এই তথ্যচিত্রের লিঙ্ক সহ যে পোস্টগুলি রয়েছে সেগুলি ব্লক করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। যার পক্ষে-বিপক্ষে উঠে এসেছে নানা মত।