এসএসসি নিয়োগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি সুজনের
এই বাম নেতার দাবি, এই ঘটনা স্কুল সার্ভিস কমিশের 'চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব' 'অযোগ্যতা'র প্রমাণ। গোটা বিষয়টিই 'অস্বচ্ছ' বলেও অভিযোগ করেছেন সুজন।
কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশের চাকরি প্রার্থীরা এখনও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। কেন নিয়োগ করা করা যাচ্ছে না? প্রশ্ন তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি, এই ঘটনা স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘চূড়ান্ত অপেশাদারিত্ব’ ‘অযোগ্যতা’র প্রমাণ। কেন নিয়োগের মেধাতালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগতে হবে ছেলে মেয়েদের, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সুজন।
গত বছরই এসএসসির শূন্য পদে নিয়োগের দাবিতে অনশন অবস্থানে বসেছিলেন তিনশোর বেশি চাকরি প্রার্থী। কলকাতা প্রেস ক্লাবের পাশে ২৯ দিন ধরে সেই অনশন চলে। ২০১৬ সালে পরীক্ষার যে মেধা তালিকা প্রকাশিত হয়েছিল, তার অনেকেই এখনও নিয়োগপত্র হাতে পায়নি বলে অভিযোগ। যদিও এ প্রসঙ্গে স্কুল সার্ভিস কমিশনের এক আধিকারিক জানান, ২০১৬ সালের যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল। তা থেকে ইতিমধ্যেই প্রয়োজন অনুযায়ী নিয়োগ করা হয়ে গিয়েছে। মূলত দু’টি ভাগের জন্য এই প্যানেল তৈরি করা হয়। নবম থেকে দ্বাদশের জন্য বিষয়ভিত্তিক নিয়োগ এবং কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা বিষয়ক নিয়োগ।
এক চাকরি প্রার্থী রাজু দাস জানান, “বিষয়ভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রায় ১৪ হাজারের একটি ওয়েটিং লিস্ট ছিল। তার মধ্যে থেকে প্রায় ১২ হাজার জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কর্মশিক্ষা, শারীরশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রায় ১৮০০ জনের নাম ছিল। নিয়োগ করা হয়েছে ৪০-৫০ জনকে। তিনবার কাউন্সেলিং হলেও এরপর কী হবে তা নিয়ে আমরা অন্ধকারে। কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে বা অন্যান্য কিছুই আমরা জানি না।”
সুজন চক্রবর্তী তাঁর চিঠিতে সে প্রসঙ্গের উল্লেখ করে মমতাকে লেখেন, “আপনার নিশ্চয়ই স্মরণ আছে কলকাতা মেয়ো রোডের পাশে ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ পর্যন্ত নিয়োগের দাবিতে অনশন চলেছিল। আপনি অনশন মঞ্চে গিয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মেধা তালিকায় নাম থাকলে কেউ বঞ্চিত হবেন না। তা হলে এখন কেন এঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে না।” গোটা বিষয়টিই ‘অস্বচ্ছ’ বলে অভিযোগ করেছেন সুজন।
আরও পড়ুন: পার্টি সেরে ফেরার পথে গাড়িতে তরুণীর শ্লীলতাহানি
সুজন চক্রবর্তীর দাবি, এর আগেও একাধিকবার এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকারের কোনও হেলদোলই নেই। এভাবে চাকরি প্রার্থীদের কর্মজীবনের একটি করে দিন রোজই কমছে বলেও সরব হন এই বাম নেতা।