CBI Raid in Recruitment Scam: টাকা, অ্যাডমিট… আর কী মিলল ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়িতে

CBI Raid in Recruitment Scam: বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার কিছু আগে সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। সেই সঙ্গে তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয় এদিন।

CBI Raid in Recruitment Scam: টাকা, অ্যাডমিট... আর কী মিলল 'কালীঘাটের কাকু'র বাড়িতে
সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 04, 2023 | 3:18 PM

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে কৌতূহল বেড়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’কে নিয়ে। কুন্তল ঘোষ, গোপাল দলপতির মুখে যাঁর নাম শোনা গিয়েছে, তাঁর কী ভূমিকা ছিল, তা জানতে তৎপর হয়েছে তদন্তকারী সংস্থাও। তবে এবার প্রথম তল্লাশি চলল সেই ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বাড়িতে। তল্লাশি শেষে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সুজয়কৃষ্ণ জানালেন, সার্চ ওয়ারেন্ট নিয়ে তাঁর বাড়িতে এসেছিল সিবিআই। তাঁকে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। অত্যন্ত ভাল পরিবেশে গোয়েন্দারা তল্লাশি চালিয়েছেন বলেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার কিছু আগে সুজয়কৃষ্ণের বেহালার বাড়িতে পৌঁছে যায় সিবিআই। সেই সঙ্গে তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালানো হয় এদিন। দুপুর ২ টো নাগাদ বেরিয়ে যান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন সুজয়কৃষ্ণ। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দুটি ফোন নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। আর মিলেছে একটা অ্যাডমিট কার্ড। কিসের অ্যাডমিট কার্ড? সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের দাবি, মিউনিসিপ্যাল সার্ভিস কমিশনে পরীক্ষা দিয়েছিলেন তাঁর শ্যালিকার ছেলে। তাঁর অ্যাডমিট কার্ডই নাকি পাওয়া গিয়েছে ‘কালীঘাটের কাকু’র বাড়ি থেকে। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাড়ির অদূরেই বাড়ি শ্যলিকার।

এসবের বাইরে বেশ কিছু টাকাও সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছে বলে জানিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর দাবি, তাঁর এক দিদি হাসপাতালে ভর্তি। সেই জন্যই নাকি তিনি নগদ টাকা রেখেছিলেন বাড়িতে। সেই টাকাই সিবিআই বাজেয়াপ্ত করেছেন বলে দাবি সুজয়কৃষ্ণের। কত টাকা পেল সিবিআই? সে উত্তর দিতে নারাজ ‘কালীঘাটের কাকু’। তিনি জানান, দিদির অসুস্থতার কথা বলা হলে, সিবিআই আধিতারিকরা তাঁকে বলেছেন, কোর্টে আবেদন করে টাকা ফিরিয়ে আনতে। টাকা নাকি তিনি নিজেই বের করে দিয়েছেন সিবিআই-কে।

আর যে ফ্ল্যাটে এদিন তল্লাশি চালানো হয়েছে, সেখানে দুই বিধবা দিদি থাকে বলে জানিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। তাঁর দাবি, তাঁদের পৈতৃক জমিতেই ওই ফ্ল্যাট তৈরি হয়েছিল। তাঁদের চার ভাইয়েরও সেখানে ফ্ল্যাট আছে।

এর আগে সিবিআই দফতরে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল তাঁকে। আর এবার তাঁর বাড়িতে হাজির হল সিবিআই। গোপাল দলপতির মুখেই প্রথম শোনা গিয়েছিল ‘কালীঘাটের কাকু’র নাম। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন সেই ‘কালীঘাটের কাকু’ই হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।