Sujay Krishna Bhadra: ‘কালীঘাটের কাকু’-র আর্টারিতে ব্লকেজ, বাইপাস সার্জারির পরিকল্পনা SSKM-এর
Sujay Krisna Bhadra: কয়েক সপ্তাহ আগে এসএসকেএম-এর কার্ডিয়োলজি-র আউটডোরে এসেছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তারপর তাঁকে মেডিক্যাল অবজারভেসন ওয়ার্ডে রাখা হয়। আইসিইউ-র ন'নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
কলকাতা: শরীর ভাল নেই নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’-র। এগারো দিন ধরে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। বাইপাস সার্জারি করার পরিকল্পনা রয়েছে হাসপাতালের।
কয়েক সপ্তাহ আগে এসএসকেএম-এর কার্ডিয়োলজি-র আউটডোরে এসেছিলেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তারপর তাঁকে মেডিক্যাল অবজারভেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। আইসিইউ-র ন’নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, কাকুর আর্টারিতে ব্লকেজ রয়েছে। করা হয়েছে করোনারি অ্যাঞ্জিওগ্রাফি। ট্রিপল ভেসেল ডিজিজে আক্রান্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। তবে বাইপাস সার্জারি করা হবে কি না তা নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
প্যারল শেষে জেলে ফেরার দিনই শারীরিক অসুস্থতা বোধ করছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সেই সময় ”কালীঘাটের কাকু’-র বুকে পেসমেকার বসানো হয়েছিল। বুকে ব্যথার উপসর্গ নিয়ে গত সোমবার দুপুরে এসএসকেএমে কার্ডিওলজি বিভাগে যান তিনি।
গত মাসেই স্ত্রীকে হারিয়েছেন সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছিল স্ত্রী বানী ভদ্রের। সেই সময় নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডের অভিযোগে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। স্ত্রী-র মৃত্যুর পর জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন সুজয়কৃষ্ণ। যদিও তাঁকে জামিন দেওয়া হয়নি। তবে স্ত্রী-র শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য সংশোধনাগারের তরফে প্যারলে মুক্তি দেওয়া হয়। ১৬ জুলাই পর্যন্ত সেই প্যারলের সময়সীমা ছিল। ১৭ তারিখ সংশোধনাগারে ফেরার কথা ছিল তাঁর।