VC: সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে রাজ্যপালের আইনজীবী, কোর্টেও রাজ্য-রাজভবন সংঘাত
Supreme Court: ইউজিসি, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল তথা আচার্যকে আগেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, প্যানেল তৈরির জন্য প্রস্তাবিত নাম জমা দিতে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা সবপক্ষই জমা দিয়েছে। এদিন আদালত নির্দেশ দেয়, তিন পক্ষ একসঙ্গে বসে একটি সম্মিলিত প্যানেলের তালিকা জমা দিক। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, কতজনের প্যানেল হবে, প্যানেল কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে কোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ১ ডিসেম্বর এ নিয়ে ফের শুনানি হবে।
কলকাতা: রাজভবন-রাজ্য সংঘাতে জট অব্যাহত উপাচার্য নিয়োগ মামলার। সুপ্রিম কোর্টে সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি সূর্যকান্তের এজলাসে সোমবার এই মামলার শুনানি হয়। সবপক্ষের আইনজীবীদের একসঙ্গে বসার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইউজিসি, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপালের তরফে উপাচার্য নিয়োগের প্যানেল গঠনের জন্য জমা দেওয়া প্রস্তাবিত নামের একটি সম্মিলিত তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আইনজীবীদের। সবপক্ষকে একসঙ্গে বসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই তালিকা থেকেই উপাচার্য নিয়োগের চূড়ান্ত প্যানেল গঠন করবে সুপ্রিম কোর্ট।
এদিন শুনানিপর্বে রাজ্যপালের তরফে আইনজীবীকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণের পরও কেন রাজভবন থেকে চিঠি দেওয়া হল তা নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। শুনানিপর্বের একেবারে প্রথমে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী জানান, শীর্ষ আদালতের পূর্ববর্তী পর্যবেক্ষণ মেনে মুখ্যমন্ত্রী গত ২ নভেম্বর আচার্য তথা রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করেছেন। কিন্তু গত ৭ নভেম্বর ফের রাজ্যপাল একটি চিঠি লেখেন। সেখানে জানান, সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে এমন কোনও বৈঠকের কথা বলা হয়নি।
এরপরই রাজ্যপালের আইনজীবীকে বিচারপতিদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত বলেন, অচলাবস্থা কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী ও আচার্যকে বৈঠকে বসার বিষয়টি প্রকাশ্য আদালতেই হয়। রাজ্যপালের তরফে আইনজীবী নিজে সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তারপরও কেন এমন চিঠি রাজ্যপাল তথা আচার্য দিলেন?
কোর্টের তরফ থেকে পর্যবেক্ষণে বলা হয়, যখন মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, তার কি কোনও গুরুত্ব নেই? তবে কি নির্দেশ দিতে হবে? এরপর রাজ্যপালের আইনজীবী জানান, তিনি এই চিঠির বিষয়ে কিছু জানেন না। তিনি খোঁজ নেবেন। তাঁকে আদালতের তরফে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়, কেন রাজ্যপাল তথা আচার্য চিঠি দিলেন তা নিয়ে যেন রিপ্লাই ফাইল করে।
ইউজিসি, রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল তথা আচার্যকে আগেই সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, প্যানেল তৈরির জন্য প্রস্তাবিত নাম জমা দিতে। ইতিমধ্যেই সেই তালিকা সবপক্ষই জমা দিয়েছে। এদিন আদালত নির্দেশ দেয়, তিন পক্ষ একসঙ্গে বসে একটি সম্মিলিত প্যানেলের তালিকা জমা দিক। যদিও আদালত জানিয়ে দেয়, কতজনের প্যানেল হবে, প্যানেল কীভাবে কাজ করবে সে বিষয়ে কোর্টই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। আগামী ১ ডিসেম্বর এ নিয়ে ফের শুনানি হবে।