Suvendu Adhikari: ‘বিরল ও ব্যতিক্রমী ঘটনা’, সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগদানে প্রতিক্রিয়া শুভেন্দুর
Suvendu Adhikari Reacted on Sabyasachi Dutta's join in TMC: "আজ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল। যা ভারতের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও দেখেনি বা প্রত্যক্ষও করেনি।''
কলকাতা: ২ বছর বিজেপি (BJP)-তে থেকে ফের তৃণমূলে (TMC) ফিরলেন সব্যসাচী দত্ত (Sabyasachi Dutta)। তা নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এ নিয়ে এবার মন্তব্য করলেন বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, বিধানসভা আজ বিরল ও ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল। কেন এমন বললেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক?
লক্ষ্মীবারে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথ গ্রহণের দিনই তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। এদিন মমতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হতেই তাঁর অনুমতিক্রমে (পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী) বিধানসভাতেই পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় ও ফিরহাদ হাকিমের হাত থেকে ঘাসফুলের পতাকা তুলে নেন মুকুল ঘনিষ্ঠ সব্যসাচী। আর এ নিয়েই তীব্র কটাক্ষ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, “আজ পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা একটি বিরল এবং ব্যতিক্রমী ঘটনার সাক্ষী থাকল। যা ভারতের অন্য কোনও বিধানসভা কখনও দেখেনি বা প্রত্যক্ষও করেনি।”
এখানেই থামেননি তিনি। শাসক শিবিরকে কটাক্ষ করে লিখেছেন, বিধানসভাকে পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করা হল এদিন। টুইটারে তিনি লেখেন, ক্ষমতাসীন দল বিধানসভাকে নিজেদের পার্টি অফিস হিসাবে ব্যবহার করল। সরলভাবে এটা সহজ ও হাস্যকর। বিধানসভার মধ্যে কাউকে দলে যোগদান করানো প্রকারন্তরে বিধানসভাকেই বদনাম করা।”
The WB Assembly witnessed a rare & exceptional event which no other Assembly in India has ever seen or witnessed.The Ruling Party using the Assembly as it's own Party Office is plain & simple ridiculous. Making someone join the party fold at the Assembly defames it considerably. pic.twitter.com/R0mL2QhUO8
— Suvendu Adhikari • শুভেন্দু অধিকারী (@SuvenduWB) October 7, 2021
জানা গিয়েছে, এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধায়কের পদে শপথ গ্রহণের কিছুক্ষণ পরই তাঁর ঘরে দেখা যায় সব্যসাচী দত্তকে। যে সময় মুখ্য়মন্ত্রীর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান চলছিল, তখনই খবর পাওয়া যায় যে সব্যসাচী বিধানসভায় এসেছেন। কিন্তু তাঁকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে জানা যায়, আগে থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে বসে ছিলেন সবস্যাচী। মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে তাঁকে দেখতে পেয়ে মারাত্মক উষ্মাপ্রকাশ করেন সব্য়সাচী বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারা। এমনকি তাঁর তৃণমূলে যোগদানে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তাপস চট্টোপাধ্যায়, সুজিত বসুর মতো নেতারা। অন্যদিকে অর্জুন সিংয়ের মতো বিজেপি নেতারাও সব্যসাচীর দলবদল নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। এই প্রেক্ষিতে সব্যসাচীর তৃণমূলে যোগদানের ছবি দিয়ে রাজ্যের শাসক দলকে বিঁধলেন তিনি।
উল্লেখ্য, একুশের ভোটের আগে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন বিজেপির দুই বিধায়ক। একজন করজোড়ে প্রণাম জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয়জন আরও খানিকটা এগিয়ে পা ছুঁলেন তৃণমূল নেত্রীর। মাত্র কয়েক মুহূর্তের এই সাক্ষাৎই এই মুহূর্তে বঙ্গ রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দেয়। প্রথমজন নোয়াপাড়ার বিধায়ক সুনীল সিং, অপরজন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। যিনি বর্তমানে তৃণমূলেই ফিরে এসেছেন।
সেদিন নাকি মমতা তাঁদের প্রশ্ন করেছিলেন. ”কী রে কিছু ভাবলি। আর তো সময় নেই।” সেবারও বিধানসভাকে তৃণমূল পার্টি অফিস বানাচ্ছে বলে কটাক্ষ ছুড়েছিলেন শুভেন্দু।
আরও পড়ুন: Sabyasachi Dutta: ‘হজম’ হল না লুচি-আলুরদম ডিপ্লোমেসি! যে খেলেন আর যিনি খাওয়ালেন, ফের তৃণমূলে