Tangra Incident: ভরসন্ধ্যায় ট্যাংরায় একা মহিলার ঘরে ঢুকেছিল জনা তিরিশেক ছেলে, পরের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ …
Tangra Incident: পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত রয়েছেন। পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য, "ওদের অনেকদিন ধরেই নজর রয়েছে বাড়িটার ওপর। আমরা কোনওভাবেই এ বাড়ি ছাড়ব না।"
কলকাতা: ভর সন্ধ্যায় ঘন বসতিপূর্ণ এলাকার বুকে একটা বাড়ির মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ল জনা তিরিশেক ছেলে। বাড়ির মহিলা রুখে দাঁড়ালে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়ির অন্যান্য সদস্য়দেরও মারধর করা হয়। জোর করেই সদস্যদের উচ্ছেদ করে বাড়ি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল ট্যাংরায়। ঘটনায় মহম্মদ জাহিদ নামে এলাকারই এক যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তাঁর নামে এলাকায় একাধিক অভিযোগ রয়েছে। শনিবার রাতের ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছে পরিবার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ট্যাংরার ৩৩ নম্বর দেবেন চন্দ্র দে রোডে। এই ঘটনায় কেবল পুলিশের প্রতিক্রিয়া, তদন্ত হচ্ছে। গ্রেফতারি না হওয়া নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াই দিতে চায়নি পুলিশ। এলাকায় উত্তেজনা রয়েছে।
ট্যাংরা থানা এলাকার ৩৩ নম্বর দেবেন চন্দ্র দে রোডে ১১ কাঠা ৬ ছটাকের উপর একটি পাঁচতলা বাড়ি। ২০০৮ সাল থেকে আছেন হাসিনা মমতাজ। বাড়িতে ২০টি ভাড়াটিয়া পরিবারও রয়েছে। বাড়ির মালিকের অভিযোগ, এই বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার জন্য বছর খানেক ধরে হুমকি দিচ্ছেন মহম্মদ জাহিদ।
এর আগেও একাধিকবার বাড়ি মালিকের ওপর চাপ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু কোনওভাবেই বাড়ি ছাড়তে চাইছেন না বাড়ির সদস্যরা। মূলত মহম্মদ জাহিদ ও তাঁর দলবলের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা। বাড়ি মালিক ও ভাড়াটিয়ারা কেউই ঘর ছাড়তে রাজি ছিলেন না। মূলত ওই বাড়ি প্রোমোটিংয়ের জন্যই দখল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ, শনিবার বিকালে জাহিদ-সহ বেশ কয়েকজন ওই বাড়ির মধ্যে হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়েন। বাড়িতে সেসময় যতজন সদস্য ছিলেন, তাঁরা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। প্রথমে ধস্তাধস্তি, পরে তাঁদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় আহত হয়েছেন বাড়ির মালকিন হাসিনা মমতাজ-সহ তাঁর দুই মেয়ে। বেশ কয়েকজন ভাড়াটিয়া মহিলা বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁদের প্রতিরোধের মুখে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন অভিযুক্তরা। ঘটনায় ট্যাংরা থানায় একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছে পরিবার। লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। এখনও গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্তরা। অভিযুক্তদের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পরিবারের সদস্যরা আতঙ্কিত রয়েছেন। পরিবারের এক সদস্যের বক্তব্য, “ওদের অনেকদিন ধরেই নজর রয়েছে বাড়িটার ওপর। আমরা কোনওভাবেই এ বাড়ি ছাড়ব না। কিন্তু রাতবিরেতে এই ভাবে হামলা করলে থাকব কীভাবে। কতবার পুলিশকে জানিয়েছি। কোনও লাভ হয়নি।” পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হচ্ছে।