Arjun Chaurasia: রাত ৩টে পর্যন্ত অর্জুনের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল ধূসর রঙের গাড়ি! মোড় নিচ্ছে রহস্য

Arjun Chaurasia:স্থানীয় একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও গাড়িটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। কিন্তু, কারা ছিল গাড়ির ভিতর? কোন উদ্দেশ্য নিয়ে তারা সেখানে দাঁড়িয়েছিলেন?

Arjun Chaurasia: রাত ৩টে পর্যন্ত অর্জুনের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল ধূসর রঙের গাড়ি! মোড় নিচ্ছে রহস্য
ছবি - ধূসর রঙের গাড়ি নিয়ে বাড়ছে রহস্য
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 1:13 PM

কলকাতা: অর্জুন চৌরাসিয়ার (Arjun Chaurasia) মৃত্যু নিয়ে গত দু’দিন উত্তাল বাংলার রাজ্য-রাজনীতি। শুরুতে কাশীপুরের এই বিজেপি (BJP) নেতার আত্মহত্যার কথা সামনে এলেও, পদ্ম শিবিরের দাবি খুন করেই বাড়ির সামনে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছিল অর্জুনকে। যে অবস্থায় অর্জুনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়, তা নিয়েও দানা বাঁধতে থাকে রহস্য। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদল তৃণমূলের লোকজনের হাতেই খুন হয়ে গিয়েছেন অর্জুন। যে দাবিতে মানত্য দিতে দেখা গিয়েছিল চৌরাসিয়া পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় কলকাতায় এসে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে গিয়েছেন খোদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। এদিকে এরই মাঝে এবার চৌরাসিয়া পরিবারের সন্দেহ আরও ঘনীভূত হচ্ছে একটি গাড়িকে ঘিরে।

সূত্রের খবর, যেদিন অর্জুনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সেদিন একটি ধূসর রঙের গাড়িকে চৌরাসিয়া পরিবারের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। যেদিন মৃত্যুর ঘটনা ঘটে সেদিন রাত ১২.১৫ নাগাদ গাড়িটিকে ওই এলাকায় ঢুকতে দেখা যায়। রাত ৩টে পর্যন্ত ওই এলাকাতেই ছিল গাড়িটি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি এর আগে কেউ গাড়িটিকে ওই এলাকায় দেখেননি। কে বা কারা কোন উদ্দেশ্যে ওখানে এসেছিল তা এখনও পরিষ্কার নয়। স্থানীয় একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজেও গাড়িটিকে দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যে জায়গায় গাড়িটি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল সেখানে সচরাচর কোনও গাড়িকে দাঁড়াতে দেখা যায়না। কিন্তু তারপরেও ওখানে গাড়ির আড়ালে কারা লুকিয়ে ছিল তা নিয়ে দানা বাঁধছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই গাড়িটির বিষয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে চৌরাসিয়া পরিবারের তরফে। এখন সিসিটিভির সূত্র ধরে কাউকে চিহ্নিত করা যায় কিনা এখন সেটাই দেখার।

প্রসঙ্গত, শনিবার সন্ধ্যাতেই অর্জুনের মৃতদেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের বিষয়ে শোনা যায়। সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের সময় খুনের কোনও চিহ্নই দেখতে পাননি চিকিৎসকেরা। এমনকী শরীরে আঘাতের কোনও চিহ্নও মেলেনি। হাতের নখ থেকেও খাবারে বিষক্রিয়ায় মৃত্যুরও কোনও প্রমাণ মেলেনি বলে জানা যায়। তাতেই আরও জোরালো হয়েছে আত্মহত্যার তত্ত্ব। কিন্তু, অর্জুন মৃত্যু নিয়ে এখনও যে ধোঁয়াশা বজায় রয়েছে তা বোঝাই যাচ্ছে পরিবারের সদস্যদের দাবিতে।