Dilip Ghosh: ‘কিছু না করলে ভয়ের কী আছে ?’ রুজিরার গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের

Kolkata: এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে চা চক্রে যোগ দিতে এসে মন্তব্য করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

Dilip Ghosh: 'কিছু না করলে ভয়ের কী আছে ?' রুজিরার গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে কটাক্ষ দিলীপের
রুজিয়ার গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 08, 2022 | 12:33 PM

কলকাতা: কয়লা কেলেঙ্কারির টাকা কার অ্যাকাউন্টে যেত এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের স্ত্রী রুজিরার নাম উঠে এসেছিল তদন্তকারীদের হাতে। তাঁব বাড়িতে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিলেন ইডি আধিকারিকরা। পরে তাঁকে একাধিকবার দিল্লিতে তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও হাজিরা দেননি তিনি। সেই মামলাতেই রুজিরার বিরুদ্ধে জারি হয় জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা। সেই বিষয়ে এদিন সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যারে চা চক্রে যোগ দিতে এসে মন্তব্য করলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “এর আগেও তাঁকে ডেকেছেন। ইডির তদন্তে সহযোগিতা করেননি বলে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ওঁর উচিত গিয়ে দেখা করা। কিছু না করে থাকলে ভয়ের কী আছে। এতজনকে ইডি, সিবিআই ডাকছে। আর ইডি ডাকছে মানে কেউ চোর এমনটা মনে করার কারণ নেই। তবে তিনি এই কাজে যুক্ত কি না, বা তাঁর কাছ থেকে এই কেসের কোনও তথ্য পাওয়া যায় কি না সেই কারণেই ডাকছে হয়ত। এমন তো যে কোনও লোককেই ডাকে, আমাদেরও ডাকতে পারে সন্দেহ হলে।”

এদিকে, রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতেই তৃণমূলের তরফে বলা হচ্ছে গোটা বিষয়টিই প্রতিহিংসার রাজনীতি। সেই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জানান, “প্রতিহিংসা কোথায় হচ্ছে সে তো বোঝাই যাচ্ছে। যেখানে-সেখানে মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। যাকে-তাকে মেরে ঝুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে চিঠি দিলে প্রতিহিংসা হয় জানা নেই। তবে যারা সবসময় প্রতিহিংসা নিয়ে চিন্তা করে তাদের মনে এইসব আসে।”

বস্তুত, শনিবার দিল্লি হাইকোর্ট কয়লা কেলেঙ্কারির মামলায় রুজিরার বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে পাবলিক প্রসিকিউটর নীতেশ রানা আদালতে জানান, তলব করা সত্ত্বেও আদালতে বা ইডি দফতরে, কোথাও হাজিরা দিচ্ছেন না রুজিরা। সেই অভিযোগের শুনানির পর চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট স্নিগ্ধা সর্বরিয়া গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দেন। আগামী ২০ অগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে। ২০২০-তে একটি এফআইআর হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই ইডি একটি এফআইআর দায়ের করে। তার ভিত্তিতেই এই মামলা চলছে।

তৃণমূল সাংসদ ও তাঁর স্ত্রী আগেই আদালতে জানিয়েছেন, তাঁরা উভয়েই যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা তাই তাঁদের বারবার দিল্লি অফিসে তলব করার প্রয়োজন নেই। সেই আবেদন আগেও খারিজ করে দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট। ইডির দাবি, ওই সংস্থা একটি এলাকা, থানা বা রাজ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।

এ ছাড়া করোনাকালে রুজিরার যুক্তি ছিল, তিনি দুই শিশুর মা, তাই মহামারির মধ্যে একা নয়াদিল্লি যাওয়া তাঁর ও তাঁর সন্তানদের মারাত্মক ঝুঁকিতে ফেলবে। কলকাতায় ডাকা হলে, সুবিধা হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।