Tapas Roy on Bowbazar: বউবাজারে আর থাকতে চাইছেন না বিধায়কের বউ-মেয়ে, স্থায়ী সমাধান চান তাপস রায়
Tapas Roy: বউবাজারের একাধিক বাড়িতে ফাটলের ঘটনায় উদ্বেগের কথা শোনালেন তিনি। বললেন, "একটি বাড়ি, যেখানে মানুষ থাকে, শান্তিতে ঘুমোবে পরিবার নিয়ে, সেখানে এই উদ্বেগ নিয়ে কাটানো খুবই যন্ত্রণাদায়ক।"
কলকাতা: বউবাজার এলাকার (Crack in Bowbazar) দীর্ঘদিনের বাসিন্দা শাসক দলের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। প্রায় ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এখানে বাস তাঁর। অতীতে ২০১৯ সালের ফাটল বিভ্রাটের সময় ঘরছাড়া হয়েছিলেন তিনিও। আবারও বউবাজারের একাধিক বাড়িতে ফাটলের ঘটনায় উদ্বেগের কথা শোনালেন তিনি। বললেন, “একটি বাড়ি, যেখানে মানুষ থাকে, শান্তিতে ঘুমোবে পরিবার নিয়ে, সেখানে এই উদ্বেগ নিয়ে কাটানো খুবই যন্ত্রণাদায়ক।” তাঁর কথায়, এলাকার মানুষ গত তিন বছর ধরে নাস্তানাবুদ হচ্ছে গত তিন বছর ধরে।
এদিন সকালে দেখা গিয়েছে, ভয়ে-আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে এসেছেন দুর্ভোগের শিকার হওয়া মানুষরা। সব জিনিসপত্রও নেওয়ার সময় পাননি তাঁরা। এক ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে, বাড়ির কুলদেবতাকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে আসছেন। সেই বিষয় প্রসঙ্গে বিধায়ক বলেন, “খুবই কষ্টের, খুবই বেদনার। এই পরিস্থিতি ভাষার প্রকাশ করা যায় না। যাঁরা এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন, তাঁরাই এটা বুঝতে পারছেন।” বিধায়ককে প্রশ্ন করা হয়েছিল, এমন আতঙ্কের বাতাবরণে রাতে তাঁর ঠিকমতো ঘুম হয় কি না। জবাবে বিধায়ক বলেন, “আবার তো হবে না আজ থেকে। আমার যদিও হয়, আমার স্ত্রী, মেয়ের হবে না। আমার ছেলে বাইরে আছে। তাঁর আবার সেখানে ঘুম হবে না বাবা-মায়ের মনের কথা ভেবে।”
তাপস রায় আরও সংশয় প্রকাশ করেন, বউবাজার এলাকায় তাঁদের আর থাকা ঠিক হবে কি না। বলেন, “আমার মেয়ে ও স্ত্রী তো থাকতে চাইছেন না। আমার মেয়ে স্কুলে গিয়েছে, সেখান থেকে মেসেজ করেছে আমাকে। আমি সকালে উঠেই সেই মেসেজটি পেয়েছি। আমার স্ত্রীও আমাকে শুনিয়ে বন্ধু-বান্ধব, ভাইদের বলছে।” এদিন সকালেও বউবাজার এলাকায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তাপস রায়। পুরো ঘটনায় দায় মেট্রোর উপর ঠেলে তাঁর সাফ দাবি, স্থায়ী সমাধানের ব্যবস্থা করুন কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। এই ধরনের ঘটনা যাতে বার বার না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্যও বলেন তিনি।