Kunal Ghosh: সিপিএমের কোষাগার থেকে টাটাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত: কুণাল
Kunal Ghosh: প্রসঙ্গত, রাজ্যে পালাবদলের অন্যতম প্রধান মাইলফলক হিসাবে দেখা হয় সিঙ্গুরকে। আগেই সিঙ্গুরে টাটা গাড়ি কারখানার জন্য রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণকে ‘অবৈধ’ বলে রায় দিয়েছিল দেশের শীর্ষ আদালত। জমি অধিগ্রহণ মামলায় হেরে গিয়েছিল টাটা মোটরস।
কলকাতা: বাংলার আকাশে ফের ‘সিঙ্গুরে’ মেঘ। রাজ্যকে ধাওয়া করছে পরিত্যক্ত শিল্পের ভূত। সিঙ্গুর চুক্তিভঙ্গের বিপুল খেসারত দিতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। টাটা মোটরসের সঙ্গে চুক্তি ভাঙে রাজ্যের শিল্প উন্নয়ন নিগম। তারপর থেকেই চলছিল আইনি লড়াই। সেই রায়ই গিয়েছে টাটার পক্ষে। সুদ-আসল মিলিয়ে প্রায় ১ হাজার ৬০০ কোটির গুনাগার গুনতে হবে রাজ্যকে। তাতেই ফুঁসছে রাজ্যের বর্তমান শাসক শিবির। দোষ ঠেলছেন বাংলার পূর্বতন শাসক তথা সিপিএমের দিকে। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সাফ দাবি, সিপিএমের কোষাগার থেকে দেওয়া উচিত এই ক্ষতিপূরণ।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে পালাবদলের অন্যতম প্রধান মাইলফলক হিসাবে দেখা হয় সিঙ্গুরকে। আগেই সিঙ্গুরে টাটা গাড়ি কারখানার জন্য রাজ্য সরকারের জমি অধিগ্রহণকে ‘অবৈধ’ বলে রায় দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। জমি অধিগ্রহণ মামলায় হেরে গিয়েছিল টাটা মোটরস। এদিন সে কথা মনে করিয়ে কুণাল বলেন, “সিঙ্গুরের এই অধিগ্রহণ তো অবৈধ। সেটা তো সুপ্রিম কোর্ট বলেই দিয়েছে। মমতা তো বলেছিলেন শিল্প হবে। কিন্তু, তিন ফসলি জমিকে জোর করে অধিগ্রহণ করে এভাবে হতে পারে না। বামদের শরিকরাই তো বিরোধিতা করেছিল। সিপিএমের দখলদারির বিরোধী ছিলেন খোদ প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী জ্যোতি বসু। সিপিএমের কোষাগার থেকেই এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত। ৩৪ বছর মানুষকে লুঠ করে, অত্যাচার করে প্রচুর রাজপ্রাসাদ বানিয়েছে সিপিএম। সেই রাজপ্রাসাদ বিক্রি করে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।”
এদিকে আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনালের এই রায়ের পর থেকে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় শুরু হয়েছে জোর চর্চা। রাজ্য এই রায়ের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে যাবে কি না তা নিয়েও চলছে জল্পনা। অন্যদিকে টাটাকে টাকা দিতে হলে তা গুনতে হবে আম-আদমির করের টাকা থেকেই। যা জমা পড়ে রাজ্যের কোষাগারে। এখানেই আবার উদ্বেগ প্রকাশ করে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, “এই টাকা যেন কোনওভাবে করদাতাদের টাকা থেকে না দেওয়া হয়। তৃণমূলের ফান্ড থেকে দেওয়া হোক। আমি ওদের সব জানি। ওদের ফান্ডে ৮০০ কোটি টাকা আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই টাকা দেওয়া উচিত পার্টি ফান্ড থেকে।”
অন্যদিকে সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যও আবার ঘুরপথে তৃণমূলকেই এক হাত নিয়েছেন। বলছেন, “এই রায় সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া রায়ের পার্ট অ্যান্ড পার্সেল। সুতরাং নতুন করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কী হবে আমি জানি না।”