MAKAUT: এবার CAG রিপোর্ট নিয়ে হইচই MAKAUT-এ, একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ সামনে

MAKAUT: সম্প্রতি রাতভর উপাচার্য ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপকদের অ্যাসেসমেন্ট করতে চেয়েছিলেন ভিসি। তাতে রাজি নন অধ্যাপকদের একাংশ। তাতেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়চত্বরে।

MAKAUT: এবার CAG রিপোর্ট নিয়ে হইচই MAKAUT-এ, একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ সামনে
ম্যাকাউট।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 9:23 PM

কলকাতা: বিরোধীরা অভিযোগ তোলেন, বাংলার শিক্ষাক্ষেত্র দুর্নীতির আখড়া হয়ে গিয়েছে। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউটে (MAKAUT) এবার বিরাট বেনিয়মের অভিযোগ উঠছে। CAG অডিট রিপোর্টে উঠে আসছে চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য। দুর্নীতি সংশোধন করতে চেয়ে বিপাকে ভিসি। পাল্টা ভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপকদের।

CAG রিপোর্ট অনুযায়ী বেনিয়ম ধরা পড়েছে একাধিক বিষয়ে। বিভাগীয় বিষয়ে অর্থনৈতিক লেনদেনের স্বচ্ছতার অভাবের অভিযোগ রয়েছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কর্মসমিতির অনুমোদন ছাড়াই অতিরিক্ত চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক নিয়োগের অভিযোগও উঠছে সেখানে। কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও টেন্ডার ডাকা হয়নি বলেও রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।

এ প্রসঙ্গে ম্যাকাউটের উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, “গত দেড় মাস ধরে আমাদের সিএজি অডিট চলেছে। তারা যে রিপোর্ট দিয়ে গিয়েছে, আমার মনে হচ্ছে একটা সংশোধন দরকার। কারণ, প্রশাসনিক দিক দিয়ে যদি এটা ঠিক না থাকে। এই চেয়ারে বসে তা ঠিক করা আমার কর্তব্য। এই ঠিক করতে গিয়েই বাধা এসেছে।”

পাল্টা তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের নেতা মণিশঙ্কর মণ্ডলের দাবি, “আমরা খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছি, অধ্যাপকদের বক্তব্য অনুযায়ী, আইনসঙ্গতভাবেই সব হয়েছে। ওনারা যেহেতু ফুলটাইম অধ্যাপক নন, চুক্তিভিত্তিকভাবে এই পদে আছেন, তার যা নিয়ম তা মানা হয়েছে বলছেন অধ্যাপকরা। এরপর যদি মনে হয় মানা হয়নি, উনি সকলের সঙ্গে আলোচনায় বসুন। উনি পালিয়ে যাচ্ছেন কেন?”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাতভর উপাচার্য ঘেরাওয়ের ঘটনা ঘটে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। সূত্রের খবর, চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপকদের অ্যাসেসমেন্ট করতে চেয়েছিলেন ভিসি। তাতে রাজি নন অধ্যাপকদের একাংশ। তাতেই উপাচার্যের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়চত্বরে। তাঁরা দাবি করেন, মেয়াদ উত্তীর্ণ ভিসিকে রাখা যাবে না পদে, উনি পদত্যাগ করুন। এরইমধ্যে সামনে এল সিএজির রিপোর্ট।