C V Ananda Bose: কলকাতার নগরপাল ও ডিসি সেন্ট্রালকে সরানোর সুপারিশ, দিল্লিতে চিঠি বোসের

C V Ananda Bose: রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল মনে করছেন তাঁর বিরুদ্ধে এই তথ্যানুসন্ধান সংবিধান লঙ্ঘন করে। এবার সেই কারণে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরানোর সুপারিশ করেছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস। এই মর্মে রাজধানী দিল্লিতে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে তিনি চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। 

C V Ananda Bose: কলকাতার নগরপাল ও ডিসি সেন্ট্রালকে সরানোর সুপারিশ, দিল্লিতে চিঠি বোসের
সিভি আনন্দ বোস, রাজ্যপালImage Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2024 | 10:00 PM

কলকাতা: এবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলস ও ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরাতে চাইছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। এই নিয়ে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে রাজ্যপাল চিঠি পাঠিয়েছেন বলে রাজভবন সূত্রে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, সংবিধানের ৩৬১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাজ্যপাল কিছু রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন। যেমন, তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি তদন্ত করা যায় না। কিন্তু রাজভবনের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ।

রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যপাল মনে করছেন তাঁর বিরুদ্ধে এই তথ্যানুসন্ধান সংবিধান লঙ্ঘন করে। এবার সেই কারণে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায়কে দায়িত্ব থেকে সরানোর সুপারিশ করেছেন বাংলার সাংবিধানিক প্রধান সিভি আনন্দ বোস। এই মর্মে রাজধানী দিল্লিতে কেন্দ্রের কর্মিবর্গ ও প্রশিক্ষণ দফতরে তিনি চিঠিও পাঠিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে।

রাজভবনের ওই অস্থায়ী মহিলা কর্মীর অভিযোগের ভিত্তিতে যথেষ্ট শোরগোল পড়ে গিয়েছিল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ওই মহিলা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি টিম গঠন করে অনুসন্ধান শুরু করেছিল কলকাতা পুলিশ। যদিও সেই অনুসন্ধানের প্রেক্ষিতে লালবাজার থেকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করা হয়েছিল। বলা হয়েছিল, এটি কোনও ব্যক্তিবিশেষের বিরুদ্ধে তদন্ত নয়, একটি নির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করা হচ্ছে।

এদিকে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও সাধারণ মানুষকে ডেকে রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি জানিয়েছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর পুলিশ ছাড়া যে কেউ সেই সিসিটিভি ফুটেজ দেখতে আসতে পারেন। যদিও পরবর্তী সময়ে সেই ফুটেজ হাতে পেয়েছিল পুলিশ।