ভরাডুবির জন্য সাংগঠনিক স্তরে গলদ রয়েছে! প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদ থেকে সরানো হচ্ছে অধীরকে?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির (Prades Congress President) পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) সরানোর দাবি উঠল।
কলকাতা: প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির (Prades Congress President) পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে (Adhir Ranjan Chowdhury) সরানোর দাবি উঠল। সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে দলের ভরাডুবি নিয়ে চলছে মূল্যায়ন। আর সেখানেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেসের একাধিক নেতা দাবি করেছেন, অধীরকে যাতে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
তাঁদের দাবি, দিল্লিতে বসে রাজ্যের দল চালানো সম্ভব নয়। পাশাপাশি প্রদেশ কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরেও বড়সড় রদবদল প্রয়োজন বলেও কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অশোক চৌহান, সলমন খুরশিদ ও মণীশ তিওয়ারিকে জানান রাজ্যের কংগ্রেস নেতারা।
এর আগে মার্চ মাসে লোকসভায় কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতার পদ থেকে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস৷ তাঁর জায়গায় অন্তর্বর্তী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পঞ্জাবের সাংসদ রভনীত সিং বিট্টুূকে৷ সেসময় অবশ্য দলের তরফে সাফাই দেওয়া হয়, বাংলার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত অধীর। তাই তাঁকে এই দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেসময় রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়, বাংলায় আইএসএফ অর্থাৎ আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে জোট নিয়ে অধীর যে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন, এটি তারই খেশারত হতে পারে।
এরপর বাংলার নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবি। একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এমনটা প্রথম। ঠিক কী কারণে এই ধরাশায়ী পরিস্থিতি? বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবি পর্যালোচনা করতে কেন্দ্রীয় নেতা অশোক চৌহানের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ করে, ‘সাম্প্রদায়িক শক্তি’র সঙ্গে জোটই ভরাডুবির কারণ।
উল্লেখ্য, ভোটের ঠিক আগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের ছেলে রোহন। তিনি অভিযোগ করেন, কলকাতায় সাংগঠনিক স্তরে একেবারেই নজর দেন না অধীর। পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: জল্পনার ইতি! বিজেপির হাতেই পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি, চেয়ারম্যান নির্ধারণে পদ্ম শিবিরে ধোঁয়াশা
প্রদেশের কংগ্রেসের সাংগঠনিক স্তরেও রদবদলের প্রয়োজন রয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। প্রশ্ন তোলা হয় অধীরের সাংগঠনিক নেতৃত্ব নিয়েও। তাঁকে সরিয়ে বিকল্প মুখের কথা আগে থেকেই ভাবছিল হাইকম্যান্ড। এবার প্রদেশ স্তরেও সেই দাবি উঠল।