Abhishek Banerjee: রাজ্যপাল বোসের দুয়ারে অভিষেকের ৩ প্রশ্ন, কী কী লিখলেন তৃণমূল ‘সেনাপতি’
C V Ananda Bose: প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন রাজ্যপালকে একটি চিঠিও জমা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মূলত তিনটি প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে।
কলকাতা: একশো দিনের কাজে টাকায় বাংলার প্রতি ‘বঞ্চনা’র অভিযোগের ইস্যুতে আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা। একশো দিনের কাজে ‘ভুক্তভোগীদের’ বান্ডিল বান্ডিল চিঠি নিয়ে রাজভবনে যান অভিষেকরা। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে রাজ্যপাল বোসের সঙ্গে বৈঠক করেন অভিষেকের নেতৃত্বে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। এদিন রাজ্যপালকে একটি চিঠিও জমা দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মূলত তিনটি প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে। রাজ্যপালকে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তিনি যাতে এই তিনটি বিষয় নিয়ে জরুরি ভিত্তিতে কেন্দ্রকে চিঠি লেখেন।
প্রথমত, তৃণমূল অভিযোগ তুলছে একশো দিনের কাজ করার পরও প্রায় ২১ লাখেরও বেশি রাজ্যবাসীর প্রাপ্য টাকা দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে আটকে রাখা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে একশো দিনের কাজের প্রকল্পে ঘাম ঝরানো রাজ্যের ২১ লাখেরও বেশি মানুষ কি সত্যিই দু’বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও টাকা পাচ্ছেন না? এই বিষয়টি যাতে রাজ্যপাল বোস কেন্দ্রের কাছে জানতে চায়, সেই আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল।
দ্বিতীয়ত, যদি সত্যিই দেখা যায়, তাঁদের টাকা আটকে রাখা হয়েছে, তাহলে কেন আটকে রাখা হয়েছে? সেই বিষয়টিও কেন্দ্রের কাছে জানতে চাওয়ার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে অনুরোধ জানিয়েছে তৃণমূল।
তৃতীয়ত, তৃণমূলের বক্তব্য, মনরেগায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে কাজ করার পর মাস্টার রোল শেষের ১৫ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা মিটিয়ে দিতে হবে। নাহলে ১৬ তম দিন থেকে প্রাপ্য টাকায় দেরি হওয়ার কারণে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিনপিছু ০.০৫ শতাংশ টাকা অতিরিক্ত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে এই ‘বঞ্চিতরা’ শুধু প্রাপ্য টাকাই নয়, দু’বছর ধরে ক্ষতিপূরণও পাওয়ার যোগ্য বলে দাবি তৃণমূলের। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র কোন যুক্তিতে এই শ্রমিকদের হকের পাওনা আটকে রেখেছে, সেই বিষয়টিও কেন্দ্রের থেকে জানতে চাওয়ার জন্য রাজ্যপালকে অনুরোধ করেছে তৃণমূল।